Copyright © 2024 Seanpublication.com
শেষ চিঠি (পেপার ব্যাক)
- লেখক : মাহিন মাহমুদ
- পাবলিকেশন : মাকতাবাতুল হাসান
- বিষয় : ইসলামি সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস, সফরনামা; ভ্রমণ-বৃত্তান্ত
লেখক : মাহিন মাহমুদ
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান
বিষয় : ইসলামী সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস এবং সফরনামা
৳240 ৳132
You Save TK. 108 (45%)
শেষ চিঠি (পেপার ব্যাক)
Share This Book:
আব্দুর রহমান –
বর্তমান সময়ে অনেক গল্প উপন্যাসে লক্ষ্য করলে দেখা যায় সেখানে শিক্ষণীয় বিষয়ের চাইতে কুরুচিপূর্ণ বিষয়গুলোকে অধিক পরিমানে সবার দৃষ্টিগোচর করা হচ্ছে। এসব গল্প উপন্যাসে কৌশলে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে মিথ্যা ইতিহাস, ইসলাম বিদ্বেষ, অশ্লীলতা সহ নানারকম ইস্যু। কিন্তু গল্প বা উপন্যাসের মাধ্যমেও যে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য তুলে ধরা যায় তা হয়তো অনেকেরই অজানা। আর এই অভাবকে কিছুটা হলেও পূর্ণ করতে মাহিন মাহমুদ লিখেছেন একটি অন্যতম উপন্যাস “শেষ চিঠি”।
,
▶ সার-সংক্ষেপঃ-
পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুযায়ী চলাফের করা মেয়ে নওশিন। যদিও সে ধার্মিক ফ্যামিলির মেডিকেল কলেজপড়ুয়া মেয়ে। কিন্তু ইসলামের যাবতীয় বিধিবিধান তার কাছে বর্তমান যুগের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয়।
এদিকে শাপলা চত্বরের লোমহর্ষক ট্রাজেডিতে পা হারায় সায়মার বাবা। অসহায় বাবার একমাত্র মেয়ে সাইমা। তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে তরুন ও কথাবার্তায় অমায়িক স্বভাবের আলেম আহসান জামিল। আহসান জামিলের অমায়িক ব্যবহার ও কথাবার্তায় মুগ্ধ হয়ে সায়মা একসময় আহসান জামিলকে নিয়ে বিয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে।
কিন্তু পরিবারের পছন্দক্রমেই বিয়ে আহসান ও নওশিনের মধ্যে। বিয়ের পরেও পশ্চিমা সংস্কৃতির মেনে চলা নওশিন আহসান কে মেনে নিতে পারছিল না। বারবার তার মনে পড়তে থাকে ভালোবাসার মানুষটির কথা। একসময় ভালোবাসার মানুষটির হাতেই কিডন্যাপ হয় নওশিন। কিন্তু কিডন্যাপ অবস্থা থেকে অনেক কষ্টে মুক্তি পাওয়ার পর স্বামী আহসানের সাথে লজ্জা ও অনুশোচনায় সামনা-সামনি কথা বলতে পারে না। ফলে সে তার মনের সমস্ত কথা একটি চিঠির মাধ্যমে লিখে আহসানকে জানায়।
কি লেখা ছিল সেই চিঠিতে?
অসহায় সায়মারই বা কী হয় শেষে?
আহসান ও নওশিনের ভাগ্যেই বা কি ঘটে শেষ পর্যন্ত?
এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে “শেষ চিঠি” উপন্যাসটি।
.
▶ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
বর্তমান সময়ে যেখানে সবখানে অশ্লীল ও অবৈধ প্রেম কাহিনী সম্বলিত উপন্যাসে ভরপুর সেখানে লেখক মাহিন মাহমুদের ইসলামি ভাবধারা সামনে রেখে উপন্যাস রচনা করা সত্যিই প্রশংসনীয়। লেখক কোনরকম কৃত্রিমতার আশ্রয় না নিয়ে উপন্যাসটিকে সহজ শব্দের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। উপন্যাসটি পড়ে পাঠক জানতে পারবেন আসলে পাপীকে নয় বরং ঘৃণা করা উচিত পাপকে।
বইয়ের প্রতিটি বাক্যই যে অভূতপূর্ব ভালোলাগায় সম্মোহিত করে রাখে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। পড়তে পড়তে একসময় দেখবেন বইটি পড়া শেষ কিন্তু সেই পড়ার রেশ রয়ে যাবে অনেকদিন।