আজ তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের কথা বললে আমাদেরকে ইউরোপের পণ্ডিত ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে নির্দেশ করতে হয়। অথচ স্বীকৃত খ্রীস্টানপণ্ডিতদের মতেও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ইতিহাস লিখতে গেলে মুসলমানদের নামই সর্বাগ্রে আসে । কারণ, তুলনামূলক ধর্মতত্বের জন্ম ও বিকাশ হয়েছে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবায়ে কিরামদের পথ ধরে ইবনে হাযম ,ইবনে তাইমিয়া, ইমাম গাজালী আলবেরুনীর মত আরও অনেক মুসলিম মনীষীদের হাতে।
জ্ঞানের অন্যান্য শাখার মত তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বও আজ মুসলমানদের হাতে নেই। ইউরোপের ওরিয়েন্টালিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হাজার হাজার বইপুস্তক ,গবেষণাকর্ম ও জার্নাল প্রকাশ ও প্রচার করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলছে। আর আমরা ইসলাম সম্মন্ধে স্বল্পশিক্ষিত ও অপরিপক্ক মুসলমানরা তাদের সৃষ্টিকরা ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের ধর্ম সম্মন্ধে হীনধারনা নিয়ে বেঁচে আছি নতুবা নিজেদেরকে সেক্যুলার প্রমাণের জন্য মরিয়া হয়ে আছি।
অথচ আমাদের চোখের সামনে এ দেশেই একদল লোক নিজেদেরকে ঈসায়ী মুসলমান দাবী করছে, কীতাবুল মোকাদ্দাসের ছদ্মাবরণে বহুবার বিকৃত বাইবেলের প্রচার প্রকাশ বিপণন করে মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার হীন চেষ্টায় রত রয়েছে।
এ রূপ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রিয় কবি ও গবেষক শ্রদ্ধেয় মুসা আল হাফিজ (হাফিজাহুল্লাহ) আল্লাহর রাসুল (সাঃ), তাঁর সাহাবায়ে কিরাম ও রহমতুল্লাহ কীরানভী(রঃ) সহ প্রখ্যাত মুসলিম মনীষীদের পথ ধরে হাজির হলেন তাঁর অনন্য প্রয়াশ “তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব “ইসলামী উত্তরাধিকার বইটি প্রণয়ন করে।
এই বইটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উৎপত্তি, সংজ্ঞা,পঠন-পাঠন, পদ্ধতি, ইতিহাস, বিকাশ, গুরুত্ব, কার্যকারীতা, প্রেক্ষাপট, বর্তমান অবস্থা ও একজন মুসলমানের পক্ষে, দ্বীনের একজন দায়ী হিশেবে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব জানা, অধ্যয়ন করা এবং আত্মস্থকরণ কতটা জরুরী এবং কতটা সময়ের দাবী।
সর্বোপরি মুসা আল হাফিজ এর উল্লিখিত গ্রন্থটি তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে দীক্ষীত হবার জন্য একজন মুসলমান কিংবা যেকোনো জ্ঞানপিপাসু ও সত্য-অনুসন্ধিৎসু মানুষের জন্য সদর দরোজা হিশেবেও চিহ্নিত হওয়ার নিসন্দেহ দাবী রাখে।
Reviews
There are no reviews yet.