fbpx
সবার উপর ঈমান
সবার উপর ঈমান

সবার উপর ঈমান

লেখক : জিয়াউর রহমান মুন্সি
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল বায়ান
বিষয় : আল হাদিস,হাদিস বিষয়ক আলোচনা
পৃষ্ঠা : 452, কভার : হার্ড কভার

 

440

You Save TK. 194 (31%)

সবার উপর ঈমান

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Description

মাকতাবাতুল বায়ান থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ঈমান বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ বই ‘সবার ওপরে ঈমান’। চলুন বইটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে একনজরে জেনে নেওয়া যাক।

১. বইটিতে ঈমান বিষয়ক প্রায় সকল হাদীস একত্রিত করা হয়েছে। এরকম সংকলন বাংলা ভাষায় এটাই প্রথম।

২. হাদীসগুলোকে প্রায় ৯০টি সুবিশাল হাদীসগ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ একটি বই পড়লেই পড়া হয়ে যাবে প্রায় ৯০টি হাদীসের কিতাব। সেই সাথে হাজার হাজার হাদীসও জানা হয়ে যাবে।

৩. ঈমান সংক্রান্ত ৪৪৬২টি হাদীস একত্র করে মাত্র ৪৬৯টি হাদীসে পরিণত করা হয়েছে।

৪. প্রতিটি হাদীসের ক্ষেত্রেই ঈমান বিষয়ক একটি প্রামাণ্য হাদীসের টেক্সট উল্লেখ করার পর প্রাসঙ্গিক বাকি হাদীসগুলোকে টীকা আকারে একত্রিত করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হাদীসের ভিন্নপাঠও তুলে ধরা হয়েছে।

৫. পাঠকের সুবিধার জন্য পুরো বইটিকে মোট ২৮টি অধ্যায়ে এবং ২৬টি শিরোনামের অধীনে বিন্যস্ত করা হয়েছে।

৬. প্রিয় নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথাগুলো হাইলাইট করতে রঙিন কালিতে ছাপানো হয়েছে।

৭. সাবলীল, বাহুল্যবর্জিত ও আকর্ষণীয় অনুবাদ।

৮. বিস্তারিত রেফারেন্স, তাহকীক ও টীকা যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যের অস্পষ্টতা টীকার মাধ্যমে দূর করা হয়েছে।

৯. বইটির শেষে বিস্তারিত পরিসরে একটি নির্ঘণ্ট সংযুক্ত করা হয়েছে, যা পাঠকের জন্যে বহুগুণে উপকারী হবে ইন শা আল্লাহ।

১০. ঈমান-আকীদা ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত তালিম করার মতো একটি বই।

১১. স্বয়ং নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জবানিতে ঈমানের পরিপূর্ণ ধারণা পেতে বইটি এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইন শা আল্লাহ।

Author

Author

জিয়াউর রহমান মুন্সী

Reviews (5)

5 reviews for সবার উপর ঈমান

  1. Arafat Shaheen

    বই: সবার ওপরে ঈমান

    মহান আল্লাহ তাআ’লা মানুষকে যে-সমস্ত নিয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন, তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হলো ঈমান। একজন মানুষ ঈমানের মতো নিয়ামত গ্রহণ করে যেমন তার পরকালীন জীবনকে সুখময় করে তুলতে পারে, তেমনি এই নিয়মতকে অস্বীকার করে তার সকল আমলকে বরবাদও করে দিতে পারে। ঈমানহীন মানুষের আর কী মূল্যই বা আছে! শুধুমাত্র আল্লাহ এবং রাসূলের প্রতি ঈমান থাকার কারণে পরকালে ক্ষমা পেয়ে যাবে বহু মানুষ।
    আমাদের কিছু কর্মকাণ্ডের কারণে অনেক সময় ঈমান চলে যেতে পারে; আমরা পড়ে যেতে পারি বিভ্রান্তির দুর্বিপাকে। যে ঈমানের গুরুত্ব এত ব্যাপক তা যদি কোনো কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তাহলে তা খুবই বেদনাদায়ক। ঠিক এ কারণেই ঈমান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অত্যন্ত জরুরি। মাকতাবাতুল বায়ান ‘সবার ওপরে ঈমান’ বইটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের আঞ্জাম দিতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ।


    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা, কাজ এবং মৌনসম্মতিই হলো হাদিস। নবিজির সময় থেকেই হাদিস সংকলনের কাজ শুরু হয়। এভাবে হাদিস সংগ্রহের ফলে বিশাল এক ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে সহিহ, জয়ীফ ও মওজু হাদিস আলাদা করে তারও সংকলন তৈরি হয়েছে। সুতরাং এককথায় বলা যায়—বিপুল হাদিসের ভাণ্ডার থেকে প্রয়োজনীয় হাদিসটি বের করে আনতে গবেষকদেরই ঘাম ছুটে যায়। তাহলে সাধারণ মুসলিমদের অবস্থা একবার চিন্তা করে দেখুন!

    শায়খ জিয়াউর রহমান মুন্সী অনুবাদক হিসেবে ইতোমধ্যে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি আরবিতে ‘জামিউস সুন্নাহ’—বাংলায় যার নামকরণ করা হয়েছে ‘সুন্নাহ সমগ্র’ নামে হাদিসের বিপুল সংগ্রহশালা থেকে পুনরাবৃত্তি বাদ দিয়ে নবিজির সকল হাদিসকে একত্র করার এক বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছেন। বিষয়ভিত্তিক এই সংগ্রহশালার ঈমান বিষয়ক হাদিসগুলো নিয়ে সংকলিত ‘সবার ওপরে ঈমান’ বইটি তারই প্রয়াস। এই বইটি বাংলায় অনুবাদ ও প্রকাশ করতে যাচ্ছে মাকতাবাতুল বায়ান।


    ‘সবার ওপরে ঈমান’ বইয়ে ৪৬৯টি হাদিসের মূলপাঠ রয়েছে; যা প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, পাদটীকায় ৩৫১৫টি হাদিসের বাড়তি পাঠ রয়েছে। সুতরাং আপনি যখন এই হাদিসগুলো পাঠ করবেন, তার মানে আপনি আসলে পড়েছেন সাড়ে তিন হাজারের ওপরে হাদিস!

    বইটিকে অনেকগুলো আলাদা শিরোনামে বিভক্ত করা হয়েছে। এতে সহজেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের হাদিসগুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—ঈমান ও ইসলামের পরিচয়, ঈমানের মহত্ব, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর পরিচয়, জান্নাতে যাওয়ার কিছু আমল, ইসলামের বিভিন্ন ফরজ বিধান, মুমিনের শর্তাবলী, লজ্জাবোধ ও ঈমান, ধৈর্য ও ঈমান, ঈমান ও সত্যবাদিতা, ঈমান যেভাবে পূর্ণতা পায়, ঈমানের সঙ্গে আমলের সম্পর্ক, দ্বীন মেনে চলার কিছু নিয়মকানুন, মুমিনের উদাহরণ, ঈমান ও মুনাফিকিসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয়।

    সুতরাং এটা পরিষ্কার যে—ঈমানের যে সকল মৌলিক বিষয় ও শাখাপ্রশাখা রয়েছে, তার সবগুলো সম্পর্কিত হাদিসই রয়েছে এই বৃহৎ কলেবরের গ্রন্থে। সংকলক শায়খ জিয়াউর রহমান মুন্সী যে ব্যাপক পরিশ্রমের মাধ্যমে দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, তা বইয়ের প্রতিটি পাতায় উপলব্ধি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।


    ‘সবার ওপরে ঈমান’ বইয়ে বেশ কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আমাদের চোখে ধরা দেয়। সেগুলো হলো—

    *হাদিসের আরবি মূল টেক্সট রয়েছে। ফলে যারা আরবি ভালো বোঝেন, এটা তাদের জন্য বিশেষ উপকারী হবে।

    *হাদিসের বাংলা অনুবাদ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ক্ষেত্রে ভিন্ন কালার ব্যবহার করা হয়েছে; যা সহজেই চোখে ধরা দেবে।

    *পাদটীকায় অসংখ্য হাদিসগ্রন্থের রেফারেন্স টেনে সংশ্লিষ্ট হাদিসের ভিন্নপাঠও তুলে ধরা হয়েছে। এতে হাদিসটি বুঝে উঠতে অনেক সহজ হবে।

    *মাকতাবাতুল বায়ানের অনুবাদের মান সব সময়ই সাবলীল। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    *বইয়ের ইনডেক্স বা নির্ঘণ্ট অংশে কোন গ্রন্থের কোন হাদিস কত পৃষ্ঠায় রয়েছে তার সবিস্তর বর্ণনা পাওয়া যাবে। এটি হাদিস দ্রুত খুঁজে পেতে সহায়ক হবে।

    ‘সবার ওপরে ঈমান’ বাংলা ভাষায় হাদিসচর্চার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ, অতীতে এরকম কোনো কাজ হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। মাকতাবাতুল বায়ানের অসাধারণ এই কাজটির জন্য আন্তরিক মুবারকবাদ।

  2. Amit Hasan

    বই- সবার ওপরে ঈমান

    প্রাককথন-

    রুহ ছাড়া যেমন দেহের অস্তিত্ব থাকে না ঠিক তেমনি ঈমান ছাড়া ইসলাম মূল্যহীন। ঈমান হলো ইসলামের মূল ভিত্তি। তাই একজন প্রকৃত মুসলিমের ঈমান সম্পর্কে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট ধারণা থাকা অপরিহার্য। কুরআন হাদিস পর্যালোচনা করলে ঈমান সম্পর্কিত অসংখ্য আয়াত ও হাদিস দেখতে পাওয়া যায়। মান ও সনদের ভিত্তিতে অসংখ্য হাদিস বিশারদগণ অসংখ্য মৌলিক ও সংকলন হাদিসগ্রন্থ রচিত করেছেন। একজন সাধারন পাঠক বা পাঠিকার পক্ষে সমস্ত হাদিস গ্রন্থ অধ্যয়ন বেশ কষ্টসাধ্য ও দুরূহ ব্যাপার। তাই এ লক্ষে মাকতাবাতুল বায়ান থেকে প্রকাশিত “সবার ওপরে ঈমান” বইটি অনন্য। কারণ বইটিতে বিভিন্ন হাদিসের মৌলিক ও সংকলন গ্রন্থ থেকে শুধুমাত্র “ঈমান বিষয়ক” হাদিসগুলোকে পৃথক করে এবং একই হাদিসের পুনরাবৃত্তি গুলোকে পরিহার করে স্হান দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে একজন সাধারণ পাঠক বা পাঠিকার জন্য আরও সহজসাধ্য হবে ঈমান সম্পর্কিত হাদিসগুলোকে জানার বোঝার এবং সে অনুযায়ী আমল করার।

    বইটির আলোচ্য বিষয়-

    মূলত বইটি হাদিসের একটি সংকলন গ্রন্থ। এতে শুধুমাত্র ঈমান সম্পর্কিত হাদিস গুলো পাদটীকা সহ বিবৃত হয়েছে। ২৮ টি অধ্যায়ে সুসজ্জিত বইটিতে ঈমান সংক্রান্ত ৪৬৯ টি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীসগুলোর পাদটীকায় যুক্ত করা হয়েছে আরো ৩৫১৫ টি হাদিসের বাড়তি শব্দাবলি। এছাড়াও বইটিতে তিনটি সংকলন গ্রন্থাবলির হাদিস বিবৃত হয়েছে। সংকলন গ্রন্থের হাদিসসহ মোট অনূদিত হাদিস হয় ৪৪৬২ টি। অর্থাৎ মূল ৪৬৯ হাদিস পড়লেই একজন পাঠক বা পাঠিকার ঈমান সম্পর্কিত ৪৪৬২ টি হাদিসের মূলভাব জানা হয়ে যাবে। মূল হাদিসের তথ্য সূত্র গুলো যথাযথ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি হাদিসের মান যথার্থ ভাবে নিরূপণ করা হয়েছে। বইয়ের শুরুতে মৌলিক হাদিস গ্রন্থাবলি এবং সংকলিত হাদিস গ্রন্থাবলি নিয়ে কিছু কথা আলোকপাত করা হয়েছে। পাঠক/পাঠিকার সুবিধার্থে বইয়ের শুরুতে বইটি পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এরপরই মূল হাদিস গুলো পাদটীকা সহ বিবৃত হয়েছে।পরিশেষে, এক সুবিশাল ইনডেক্স সংযোজন করা হয়েছে। লেখকের ভাষায় এটি এই বইয়ের প্রাণ। যা থেকে একজন পাঠক বা পাঠিকা প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থের নিদিষ্ট হাদিস খুঁজে নিতে পারবেন।

    বইটিতে যা যা আছে-

    ১৷ বইটি মূলত একাধিক হাদিস গ্রন্থের হাদিসের একটি সংকলন গ্রন্থ। অর্থাৎ ঈমান সম্পর্কিত হাদিস গুলো এই বইতে একত্র করা হয়েছে। বইটি পড়লে একাধিক হাদিস গ্রন্থের ঈমান বিষয়ক হাদিস গুলো একজন পাঠক বা পাঠিকা জানতে পারবে।

    ২। ঈমান ও ইসলামের মধ্যকার সম্পর্ক, ঈমানের নির্দশন সম্পর্কিত হাদিস জানার মাধ্যমে পাঠক বা পাঠিকা ইসলামের সাথে ঈমানের সম্পর্ক নিরূপণ করতে পারবে।

    ৩। বইটিতে ঈমানের সাথে অন্যান্য গুণের সম্পর্ক যেমন লজ্জাবোধ, ধৈর্য ও সত্যবাদিতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারবে।

    ৪। বইটিতে ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য, ঈমানের সাক্ষ্য দেয়ার গুরুত্ব ও ফলাফল, ঈমান কিভাবে পূর্ণতা পায়, জান্নাতে যাওয়ার আমল সংক্রান্ত হাদিস গুলো থেকে একজন পাঠক বা পাঠিকা উপকৃত হতে পারবে।

    ৫। এছাড়াও ঈমান ও মুনাফিকির পার্থক্য,গায়েব বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনের দৃষ্টান্ত, ঈমান না আনার পরিণতি, ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ, পরিশেষে ঈমান পরিচর্যার নসিহত বিষয়ে হাদিস আলোকপাত করা হয়েছে যা পাঠক বা পাঠিকার অন্তরে ঈমানকে দৃঢ় করতে সহায়ক হবে।

    বইটির প্রয়োজনীয়তা-

    আল্লাহ বলেন,
    “তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।” [১]

    মুসলিম হওয়ার শর্তই হলো অন্তরে ঈমান আনয়ন করা। ঈমানকে অন্তরে ধারণ করা এবং তদনুযায়ী আমল করা। আর ঈমানই একজন প্রকৃত মুসলিমের সকল সাফল্যের চাবিকাঠি।

    আল্লাহ অন্যত্র বলেন,
    “যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারাই সৃষ্টির সেরা।” [২]

    তাই আমাদের ঈমান সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। ঈমান সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে ঈমানের বিরুদ্ধ শক্তি শিরক আমাদের আমাদের মাঝে বাসা বাঁধবে।

    যেহেতু বইটিতে ঈমান বিষয়ক হাদিস গুলো স্হান পেয়েছে তাই বইটি পাঠের মাধ্যমে একজন পাঠক বা পাঠিকা নিজেদের ঈমানকে আরও মজবুত করতে পারবে। নিজেদের অন্তরকে ঈমানের স্রোতে অবগাহন করাতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

    ফুটনোট:
    ১. সূরা বাকারা- ১৩২
    ২. সূরা বাইয়্যিনাহ- ০৭

    ■ একনজরে বই-

    ▪বই- সবার ওপরে ঈমান
    ▪লেখক- শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সী
    ▪পৃষ্ঠা- ৪৫২
    ▪মুদ্রিত মূল্য- ৬৩৪ ৳
    ▪কভার-হার্ডকভার
    ▪প্রকাশনী-মাকতাবাতুল বায়ান

  3. Shahidul Islam

    প্রাককথন :
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, يخرج من النار من كان في قلبه مثقال ذرة من الايمان অর্থাৎ যার অন্তরে অনু পরিমাণ ঈমান থাকবে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। (সুনানে তিরমীজী, ২৫৯৮)

    ঈমান এমন একটি বিষয়, যা একজন মানুষের ইহকালীন-পরকালীন জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ফল ছাড়া গাছের যেমন কোন মূল্য নেই, একইভাবে ঈমান ছাড়া আমাদের যাবতীয় ইবাদাত তথা নামাজ,রোযা, হজ্ব, যাকাত, কোরবানি ইত্যাদির কোন মূল্য নেই। তাই আমাদের এবারের আলোচ্য বই ‘সবার উপরে ঈমান’।

    বই পরিচিতি :
    নাম : সবার উপরে ঈমান
    সংকলক : শায়েখ জিয়াউর রহমান মুন্সি হাফি.
    প্রকাশক : মাকতাবাতুল বায়ান
    পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৫১

    পাঠ প্রতিক্রিয়া :
    আলহামদুলিল্লাহ আমার বইটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। সে অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, বইটি বর্তমান সময়, কাল, অবস্থা অনুযায়ী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য একটি বই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য, প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য।

    বইটির বৈশিষ্ট্য :
    ১. হাদীসের অনুবাদ,সনদ কালার কোডেড করে দেয়া হয়েছে। ফলে পাঠক যে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজেই খুঁজে পাবেন।
    ২. হাদীসের তাহকীক-তাখরীজ উল্লেখ করা হয়েছে। যার ফলে পাঠক সহজেই হাদীসের মান বুঝতে পারবেন।
    ৩. ঈমান বিষয়ক চার হাজারেরও অধিক হাদীসের সমন্বয়ে বইটি সংকলন করা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে বইটি পাঠকের জন্য অমূল্য সম্পদ হবে ইনশাআল্লাহ।
    ৪.ঈমানের পরিচয়, মুমিনের বৈশিষ্ট্য, ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় বইটিতে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
    ৫. বইয়ের শেষে একটি নির্ঘন্ট যুক্ত করা হয়েছে, যা পাঠককে বিশেষভাবে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ।

    বইটি কেন পড়বেন :
    ঈমানের হেফাজত, মুমিনের গুণাবলী, ঈমান ও কুফরের সংঘাত ইত্যাদি বিষয় জানার জন্য বইটি হবে আপনার অমূল্য সংগ্রহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখনিঃসৃত ঈমান বিষয়ক সমস্ত হাদীসগুলো জানার জন্যও বইটি সংগ্রহে রাখা প্রয়োজন।

    যেভাবে সাজানো হয়েছে :
    * ঈমান ও ইসলামের পরিচয়
    * ঈমানের মহত্ত্ব
    * লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ
    * জান্নাতে যাওয়ার কিছু আমল
    * ইসলামের বিভিন্ন ফরজ বিধান
    * মুমিনের শর্তাবলী
    * লজ্জাবোধ ও ঈমান
    * ধৈর্য ও ঈমান
    * ঈমান যেভাবে পূর্ণতা পায়
    * ঈমানের সাথে আমলের সম্পর্ক
    * ঈমানের ফলাফল
    * মুমিনের উদাহরণ
    * ঈমান ও মুনাফিকি
    * অদৃশ্য জগতের কিছু কথা
    * ঈমানের পরিচর্যা
    * ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় যেসব কারণে ইত্যাদি।

    শেষ কথা :
    ঈমান এক অমূল্য সম্পদ। যার ঈমান নেই, আল্লাহর কাছে তার কোন মূল্য নেই। তাই এই অমূল্য সম্পদ রক্ষায় প্রত্যেকের সচেতন ও যত্নবান হওয়া উচিত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈমান-আকিদা রক্ষা ও নেক আমলের তাওফীক দান করুন।

  4. Muhammad Tamimul Ihsan

    ||বুক রিভিউ||

    দ্বীন এমন একটি বৃক্ষের মতো,যার শিকড় জমিনের অনেক নিচ অব্দি প্রোথিত আর যার শাখা-প্রশাখাগুলো আকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত। যদি বৃক্ষের ফলফলাদির পরিমাণ অনেক বেশি হয় তাহলে বোধগম্য হয় যে,তার শিকড় অবশ্যই অনেক গভীরে প্রোথিত। অন্যথায় বৃক্ষটি এত ভার কখনোই সামলাতে পারত না। একইভাবে এই দ্বীনের শিকড় অর্থাৎ ঈমানও অনেক বেশি গভীরে প্রোথিত হওয়া প্রয়োজন। অন্তরে যদি ঈমান গভীরতাসম্পন্ন হয় তাহলে দ্বীনের বৃক্ষ ফলফলাদির প্রচন্ড ভারও সহজে সামলে উঠতে পারবে। দ্বীনের মূল শাখা অর্থাৎ ঈমান যেখানে প্রথিত রয়েছে,তার ভিত মজবুত না হলে সবই বৃথা। ঈমান যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো অনেক সময় আমাদের চোখেই পড়ে না। ফলে দেখা যায়, অনেকসময় সামান্য টাকা-কড়ি আর মিশনারিদের মন ভুলানো কথার ফাঁদে পড়ে তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ঈমান বিসর্জন দিয়ে সে হয়ে যাচ্ছে একজন আপাদমস্তক খ্রিস্টান। আজ মুসলিমদের ঈমান এতোটাই দূর্বল আর ঠুনকো হয়ে পড়েছে যে খুব সহজেই মানুষের মনে ঈমান নিয়ে সংশয়ের বিষ ঢুক পড়ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে,ঈমান শুধুমাত্র মুখে গ্রহণ করলেও অন্তরে ধারণ না করা এবং সংরক্ষণ ও পরিচর্যা সঠিকভাবে না করা। আর বর্তমান এই জাহিলিয়্যাত আর ফিতনার যুগে ঈমান সংরক্ষণ ও সঠিকভাবে পরিচর্যা করাটা কাঁটাযুক্ত পথ দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়ার মতো। আর তাইতো ঈমান সংরক্ষণ ও সঠিকভাবে পরিচর্যার জন্য ঈমান ও আকিদার সকল পাঠকে একত্রিত করে “মাকতাবাতুল বায়ান” থেকে শীগ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ❝সবার উপরে ঈমান❞ বইটি। নবি (ﷺ)-র মুখনিঃসৃত বাণী অসংখ্য হাদীস থেকে ❝সবার উপরে ঈমান❞ বইটির সংকলন করেছেন “শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সী”।

    ■ বই কথন :

    বইটি মূলত হাদীসের একটি সংকলন গ্রন্থ। হাদীসের এ পূর্ণাঙ্গ সংকলন গ্রন্থটির নাম “جامع السنة জামিউস সুন্নাহ”। বাংলায় যার নাম রাখা হয়েছে “সুন্নাহ সমগ্র”। মূলত গ্রন্থটি আরবি ভাষায় রচনার কাজ চললেও উল্লেখযোগ্য একটি অংশ প্রস্তুত হওয়ায় ঈমান সংক্রান্ত সকল হাদীসগুলো নিয়ে বর্তমানে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ❝সবার উপর ঈমান❞ গ্রন্থটি। গ্রন্থটিকে ২৮টি অধ্যায়ে সুসজ্জিত করে ঈমান সংক্রান্ত ৪৬৯টি হাদীসের মূলপাঠ পাদটীকাসহ হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে। আর পাদটীকাগুলোতে যুক্ত হয়েছে আরো ৩৫১৫টি হাদীসের বাড়তি শব্দাবলি। এছাড়াও বইটিতে তিনটি হাদীস সংকলনগ্রন্থ “জামিউল উসূল,মাজমাউয যাওয়াইদ ও জামউল ফাওয়াইদ”-র ঈমান সংক্রান্ত সকল সংক্রান্ত সকল হাদীস এই বইটিতে স্থান পেয়েছ। অর্থাৎ সংকলনগ্রন্থের হাদীসগুলোসহ মোট অনুদিত হাদীসের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪৬২টি। অর্থাৎ আপনি ঈমান সংক্রান্ত ৪৬৯টি হাদীস পড়লেই ৪৪৬২টি হাদীসের মূলভাব জানা হয়ে যাবে। বইটিতে প্রতিটি হাদীসের মান যথার্থভাবে নিরূপণ করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি হাদীসের হুবহু অনুবাদ ও সেটির পাশে মুহাদ্দিসদের মূল্যায়ন উল্লেখ করা হয়েছে। বইটির শুরুতে জেনারেল পাঠক-পাঠিকাদের বোঝার সুবিধার্থে সুন্নাহর প্রয়োজনীয়তা,হাদিসের মৌলিক গ্রন্থাবলির বৈশিষ্ট্য,হাদীস সংকলনগ্রন্থের প্রয়োজনীয়তা,সংকলন পদ্ধতি,হুবহু অনুবাদের ক্ষেত্রে হাদীস নির্বাচন পদ্ধতি,হাদীসের মান নির্ধারণ নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও পাঠকদের বইটি বোঝার সুবিধার্থে বইটি পড়ার পদ্ধতি নিয়ে দারুণ আলোচনা করা হয়েছে। যেখানে উঠে এসেছে হাদীসের মূলপাঠ ও পাদটীকা কীভাবে পড়তে হবে,হাদীসটির তথ্যসূত্র কোথায় উল্লেখ করা থাকবে এবং বইটির ইনডেক্স বা নির্ঘন্ট,লেখকের ভাষায় যেটি বইয়ের প্রাণ সেটি থেকে কীভাবে হাদিসগ্রন্থের কোনো নির্দিষ্ট হাদীস সম্পর্কে জানতে চাইলে তা খুঁজে বের করা যাবে। সর্বোপরি বইটি পড়ার দিকনির্দেশনা বইটির মধ্যেই দেওয়া হয়েছে,যা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।

    ■ কি কি থাকবে বইটিতে :

    বেশ সাজানো-গোছানোভাবে মোট ২৮টি অধ্যায়ে বইটির চমৎকার সূচীপত্র এবং কন্টেন্ট যে কাউকেই বইটি একদেখায় মুগ্ধ করতে বাধ্য থাকবে। চলুন দেখি আসি কি কি থাকবে বইটিতে :

    ▪︎ বইটির শুরুতেই ভূমিকার মধ্যে থাকছে সুন্নাহর অপরিহার্যতা,হাদীসের মৌলিক গ্রন্থাবলীর বৈশিষ্ট্য, হাদিসের সংকলন গ্রন্থের প্রয়োজনীয়তা, সংকলন পদ্ধতি, হুবহু অনুবাদের ক্ষেত্রে হাদিস নির্বাচন পদ্ধতি, হাদিসের মান নির্ধারণ, বইটি পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। যা একজন পাঠককে বইটি পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।

    ▪︎ এছাড়াও রাগ,সন্তুষ্টি ও ক্ষমতার ক্ষেত্রে ঈমানের দাবী,ঈমানের মহত্ব,তাওহিদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য দেওয়াই কি মুক্তির জন্য যথেষ্ট,বান্দা ও আল্লাহ পরষ্পরের অধিকার,ইসলামের বিভিন্ন ফরজ বিধান,মুমিনের শর্তাবলি,লজ্জাবোধ,সত্যবাদিতার সংজ্ঞা,ঈমান যেভাবে পূর্ণতা পায়,ঈমানের সঙ্গে আমলের সম্পর্ক ঈমানের ফলাফল নিয়ে উদাহরণ ও আলোচনা আপনার মস্তিষ্ককে নতুন করে ঈমানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করে থাকবে।

    ▪︎ এছাড়াও যদি বইটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি জানবেন-

    • বাইআত ও আনুগত্যের শপথ কি?
    • আল্লাহর কাছে কোন ধরনের দ্বীন অধিক পছন্দের?
    • কেন একজন মুমিন একহাজার সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি কল্যাণকর?
    • প্রাচুর্য ও দুঃখদুর্দশা উভয়টিই কেন মুমিনের জন্য কল্যাণকর?
    • মুমিনকে কেন দোলায়মান শস্যক্ষেত আর মুনাফিককে দেবদারু গাছের সাথে তুলনা করা হয়েছে?
    • কী কী কারণে ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে?

    সীরাতে মুস্তাকিমের উদাহরণ,নবি (ﷺ)-র মি’রাজের রাতে সফরের তাৎপর্য,জাহেলি যুগের লোকদের পরিণতি,কবিরা গুনাহ,শির্কের বিভীষিকা নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনামূলক আলোচনা করে সর্বশেষ ঈমানের পরিচর্যা ও ঈমান নবায়ন নিয়ে বিশদ বর্ণনা করে বইটির মূল আলোচনার ইতি টানা হয়েছে।

    ■ যে কারণে বইটি অবশ্যই সবার পড়া উচিৎ :

    বইটি এ কারণেই সবার পড়া উচিৎ কারণ বর্তমানের এই ইরতেদাদি ফিতনার যুগে নিজের ঈমান টিকিয়ে রাখা হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখার চেয়েও কঠিন। প্রতিটা মুহুর্তে যেন বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের জীবনের চেয়ে প্রিয়,আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু আমাদের ঈমান। তাই আমাদের ঈমান সঠিক এবং শুদ্ধ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। ঈমানের সম্পর্কে যদি সঠিক ধারণাটাই না থাকে হয়তো দেখা যাবে কোনো একসময় নিজের অজান্তেই কুফর আমাদের মাঝে এসে বাসা বাঁধবে। যার ফলে খোয়াতে হবে আমাদের জীবনের চেয়েও মূল্যবান সম্পদটি। এছাড়াও বইটিতে ঈমান সংক্রান্ত প্রায় সকল বিষয়ের আলোচনা যুক্ত করা হয়েছে। ঈমান সংক্রান্ত বিষয়গুলোর আলোচনা সরাসরি রাসূল (ﷺ)-র হাদীস থেকে নেওয়ার ফলে বইটি সর্বজন কর্তৃক স্বীকৃত একটি বই হিসেবে পরিগণিত হবে। আর যেহেতু বইটিতে ঈমান বিষয়ক হাদীসগুলো স্থান পেয়েছে তাই বইটি পাঠের মাধ্যমে একজন পাঠক তার নিজের ঈমানকে আরো পাকাপোক্ত করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

    ■ বইটি পড়ে ব্যক্তিগত অনুভূতি ও মতামত :

    ▪︎ বইটি পড়ে মনে হয়েছে যেকোনো সাধারণ পাঠকই বইটি খুব সাবলীলভাবেই পড়তে পারবেন। শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সী (হাফি.)-র সাবলীল,প্রাঞ্জল ও গাম্ভীর্যতাপূর্ণ অনুবাদ পরিহার নিঃসন্দেহে বইটিকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে।

    ▪︎ বইটিতে প্রায় সাড়ে চারহাজার হাদীসকে সমন্বয় করে ৪৬৯টি হাদীসে প্রকাশ করা হয়েছে। যার ফলে বলা চলে,এই একটি বইই প্রায় ৯০টির অধিক হাদিসগ্রন্থের সারাংশ বা সমাচার। যেটি আসলেই প্রশংসার দাবিদার।

    ▪︎ বইটিতে হাদীসের অনুবাদে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গায় যেমন টীকা,তথ্যসূত্র,বিভিন্ন গ্রন্থের নাম,লেখকের নামে রঙ্গিন কালি ব্যবহার করা হয়েছে,যাতে সহজেই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফলে পাঠক সমাজে বইটির চাহিদা নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।

    ▪︎ এছাড়াও বইটির শুরুতেই বইটি পড়ার পদ্ধতি বিস্তারিত চিত্রের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে,যার ফলে এধরনের কঠিন একটি বইও পাঠকের পড়তে সুবিধা হবে। পাদটীকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে,কীভাবে পাদটীকাটি পড়তে হবে,তথ্যসূত্র কীভাবে মিলাতে হবে এবং সর্বশেষ ইনডেক্স বা নির্ঘন্ট থেকে কীভাবে চাইলে বইটিতে থাকা হাদীসগুলো বিভিন্ন হাদিসগ্রন্থ থেকে দেখে নেওয়া যাবে তা বিস্তারিত চিত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    ▪︎ বইটিতে যে অংশটিতে সবচেয়ে ভালো লাগা কাজ করেছে তা হচ্ছে গ্রন্থপঞ্জির উল্লেখ; যেসব গ্রন্থের সকল হাদীস একত্র করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা আলাদা করা হয়েছে। হাদীসের মূল গ্রন্থাবলী,রিজাল-শাস্ত্রের গ্রন্থাবলী,হাদীসের সংকলন-গ্রন্থাবলী,মূল গ্রন্থাবলীর যেসব হাদীস অনুবাদ করা হলো সেসবের সবকিছুর একটা গোছানো হিসাব দেওয়া হয়েছে। যা আসলেই প্রশংসাযোগ্য এবং পাঠকের কাছেও যা বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠবে।

    ■ সর্বোপরি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীমে ঈমানের উপর গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ করেন-

    ❝সময়ের কসম! নিশ্চয়ই সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্ততায় নিপতিত। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে,সৎকাজ করেছে,পরষ্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরষ্পরকে ধৈর্য্যর উপদেশ দিয়েছে।❞ (সূরা আছর : ১-৩)

    সুতরাং,সময়ের ব্যবধানে পাল্টে যাওয়া এই পৃথিবীর ফিতনা-ফাসাদ এবং ঈমান বিধ্বংসী নানা উপাদানের উপদ্রবে বর্তমান যুগের মুসলিমদেরকে আবারো ঈমানি জোয়ারে বলিয়ান করতে বাংলা ভাষায় রেফারেন্স ও তথ্যনির্ভর একটি বইট সংকলিত হওয়া ছিলো সময়ের দাবী। আল্লাহ বই সংশ্লিষ্ট লেখক,প্রকাশক সকলের মেধা,শ্রম ও ত্যাগকে কবুল করে নিক এবং আমাদেরকেও বইটি থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুক। আমিন ।

    ■ একনজরে বই পরিচিতি :

    ▪︎ বইয়ের নাম : সবার উপরে ঈমান
    ▪ লেখক : শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সী
    ▪︎ প্রকাশক : মাকতাবাতুল বায়ান
    ▪︎ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৫২
    ▪︎ মলাট মূল্য : ৬৩৪/=

  5. নাফিসা ইয়াসমিন

    একজন মুমিনের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ তার অন্তরের ঈমান যা পরকালীন নাজাতের পাথেয়।
    ঈমান হচ্ছে সেই ‘এক’, যেটা হাজার কিংবা লাখখানেক শূন্যের একেবারে বামপাশে বসে আছে, যার অনুপস্থিতিতে সবকিছুই মূল্যহীন।
    প্রতিনিয়ত মানুষ জেনে বুঝে অথবা মনের অজান্তে যে ছোট-বড় অল্প বিস্তর কুফরির অনুসরণ করে ফেলে তার জন্য অন্তরের কুঠুরি থেকে ঈমানের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যেতে পারে। নিমিষেই হারিয়ে যেতে পারে পরকালীন নাজাতের এই মহার্ঘ্য পাথেয়।
    ঈমান’‌‌ মুমিন জীবনে এত মহামূল্যবান হ‌ওয়া সত্ত্বেও আমরা বিষয়টি সম্পর্কে উদাসিন। ঈমান সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের জ্ঞানের অজ্ঞতা ও সঠিক পরিচর্যার অভাব বহু ক্রোশ পিছিয়ে দেয় ঈমানী সুধা পান করা থেকে।

    সবথেকে বড় প্রশ্ন আমরা ঈমানের মৌখিক দাবি স্বীকার করি কিন্তু অন্তরে ঈমান-আকীদার সম্পূর্ণ জ্ঞান যদি না থাকে তবে আমরা কীভাবে পরিপূর্ণ মুমিন বলে পরিচয় দেবো?
    সুযোগ নেই পনেরোশো বছর পূর্বে ফিরে গিয়ে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দারসে উপস্থিত থেকে তাঁর পরশের ছোঁয়ায় জানবো আকীদার বিশালতাকে অথবা প্রিয় নবীজির দৃষ্টিতে দেখবো ঈমানের পরিসীমা‌র সুবিশলতা।
    .
    ঈমান সংক্রান্ত হাদীস জানতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য হাদীসের গ্রন্থ ঘেঁটে শুধু ঈমান নিয়ে আলোচিত হাদীসগুলো বাছাই করা কি সবার পক্ষে একান্ত অসম্ভব।
    .
    এরকম একটি পরিশ্রমসাধ্য ও মূল্যবান কাজকে মুমিন পাঠকদের জন্য সহজ করতে সুনামধন্য মাকতাবাতুল বায়ান প্রকাশনীর অনন্য প্রয়াস হতে চলেছে ‘সবার ওপরে ঈমান’ বইটি।
    প্রায় ৯০টি হাদীসগ্রন্থ থেকে ঈমান সংক্রান্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার হাদীস বাছাই করে সেগুলোকে নিয়ে আসা হয়েছে মাত্র ৪৬৯ টিতে। অর্থাৎ পাঠক এই একটিমাত্র বইতে পাবেন হাজার হাজার হাদীসের সারনির্যাস যেটা পড়লেই পড়া হয়ে যাবে প্রায় ৯০টি হাদীসগ্রন্থ!

    রিভিউ সমাচার
    ———————-
    বক্ষ্যমাণ ব‌ইটিতে চমকপ্রদ শিরোনামে ২৮ টি অধ্যায় সুবিন্যস্ত করা হয়েছে।

    বইটি মূলত একটি হাদীস সংকলন গ্রন্থ। হাদীসের এ পূর্ণাঙ্গ সংকলন গ্রন্থটির নাম “জামিউস সুন্নাহ”। এছাড়াও বইটিতে তিনটি হাদীস সংকলনগ্রন্থ ‘জামিউল উসূল’, ‘মাজমাউয যাওয়াইদ’ ও ‘জামউল ফাওয়াইদ’‌ সমূহের ঈমান সংক্রান্ত সকল হাদীস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    🍂সূচিপত্র থেকে একঝলক🍂
    ::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
    আলোচ্য ব‌ইটির‌ সূচিপত্র থেকে এক টুকরো আলো তুলে‌ ধরা হলো:
    ⬛ঈমান ও ইসলামের পরিচয়
    ⬛ঈমানের মহত্ত্ব
    ⬛লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
    ⬛বান্দা ও আল্লাহ পরস্পরের অধিকার
    ⬛ জান্নাতে যাওয়ার কিছু আমল
    ⬛ইসলামের বিভিন্ন ফরজ বিধান
    ⬛ মুমিনের শর্তাবলি
    ⬛লজ্জাবোধ ও ঈমান
    ⬛ধৈর্য ও ঈমান
    ⬛ঈমান ও সত্যবাদিতা
    ⬛ঈমান যেভাবে পূর্ণতা পায়
    ⬛ঈমানের সঙ্গে আমলের সম্পর্ক
    ⬛বাইআত বা আনুগত্যের শপথ
    ⬛ ঈমান ও মুনাফিকি
    ⬛অদৃশ্য জগতের কিছু কথা
    ⬛ কবীরা গুনাহ
    ⬛ঈমান ক্ষতিগ্রস্থ হয় যেসব কারণে
    ⬛ ঈমানের পরিচর্যা।

    ব‌ইটির বিশেষত্ব ও গুরুত্ব
    ————————————

    📗বক্ষ্যমাণ বইটি একটি অনবদ্য মাইলফলক কারণ ঈমান বিষয়ক প্রায় সকল হাদীসসমূহ একটি ব‌ইয়ের মধ্যে একত্রীভূত করে বাংলা ভাষায় সম্ভবত এই প্রথম হাদীস সংকলন রচিত হতে চলেছে।

    📗পাঠকের সুবিধার্থে সমগ্র বইটিকে চমকপ্রদ ২৬টি শিরোনামে সর্বমোট ২৮টি অধ্যায়র অধীনে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে।

    📗ঈমান সংক্রান্ত ৪৬৯টি হাদীসের মূলপাঠ অক্ষুন্ন রেখে পাদটীকাসহ হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে এবং এই পাদটীকাগুলোতে যুক্ত হয়েছে আরো ৩৫১৫টি হাদীসের বাড়তি শব্দাবলি।

    📗সংকলনগ্রন্থের হাদীসগুলো সহ সর্বমোট অনূদিত হাদীসের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪৬২টি। অর্থাৎ ঈমান সংক্রান্ত মাত্র ৪৬৯টি হাদীস পড়লেই ৪৪৬২টি হাদীসের মূলভাব অনুধাবন করা সহজসাধ্য হবে।

    📗 হাদীসগুলোকে প্রায় ৯০টি সুবিশাল হাদীসগ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ একটি বই পড়লেই পড়া হয়ে যাবে প্রায় ৯০টি হাদীসের কিতাব। সেই সাথে হাজার হাজার হাদীসের সাথে পরিচয় হয়ে যাবে সহজেই।

    📗 প্রতিটি হাদীসের ক্ষেত্রেই ঈমান বিষয়ক একটি প্রামাণ্য হাদীসের টেক্সট উল্লেখ করার পর প্রাসঙ্গিক বাকি হাদীসগুলোকে টীকা আকারে একত্রিত করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হাদীসের ভিন্নপাঠও তুলে ধরা হয়েছে।

    📗কালার কোডেড: প্রিয় নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথাগুলো হাইলাইট করতে রঙিন কালিতে কালার কোডেড করা হয়েছে লেখাগুলো যাতে সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

    📗বইটির শেষে বিস্তারিত পরিসরে সংযুক্ত করা হয়েছে একটি ইনডেক্স বা নির্ঘণ্ট যা ব‌ইটির প্রাণ আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। কোন হাদীস গ্রন্থের কোন কোন হাদীস এই ব‌ইয়ে স্থান পেয়েছে অথবা একজন পাঠক প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থের একটি নির্দিষ্ট হাদীস সম্পর্কে জানতে এই ইনডেক্স তাৎপর্য ভূমিকা রাখবে যা পাঠকের জন্যে বহুগুণে উপকারী।

    📗প্রতিটি হাদীসের সাথে সংযুক্ত হয়েছে বিস্তারিত ও অথেনটিক রেফারেন্স, তাহকীক ও টীকা সমূহ যার মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দ ও বাক্যের অস্পষ্টতা উল্লেখিত টীকার মাধ্যমে দূরীভূত হয়েছে।

    📗ঈমান-আকীদা ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত তালিম করার মতো একটি বই।

    📗স্বয়ং নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জবানিতে ঈমানের পরিপূর্ণ ধারণা পেতে এবং তাঁর দৃষ্টিতে আকিদার বিশালতা অনুধাবন করতে বইটি এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইন শা আল্লাহ।

    📗 চমৎকার শব্দবিন্যাস, সাবলীল- প্রাঞ্জল উপস্থাপন এবং বাহুল্যবর্জিত ও আকর্ষণীয় অনুবাদ পাঠক হৃদয়কে মুগ্ধ করবে নিঃসন্দেহে।

    ব‌ইটি কেন পড়বেন
    ——————————
    ঈমান পার্থক্য নির্ণয়কারী সত্য- মিথ্যার, কল্যাণ-অকল্যাণের, মুমিন ও কাফেরের।
    শুধু মৌখিক কালেমা পড়ার নাম ঈমান নয়, ইসলামকে তার সকল অপরিহার্য অনুষঙ্গসহ মনেপ্ৰাণে কাবুল করার নাম।
    তাই, জন্মসূত্রে আমরা সবাই নিজেকে মুসলমান বলে মৌখিক দাবি জানায় কিন্তু কর্মসূত্রে কতজন ঈমানের দাবি পরিপূর্ণ করতে পারি? কতজন ঈমান রক্ষায় সচেতন!
    প্রতিনিয়ত যে ছোটো- বড় নানান কারণে ঈমান নামক বিশ্বাসের মোহরটি আমাদের অন্তর থেকে থেকে উড়ে যেতে পারে।
    এই ফিতনাবহুল দুনিয়ার পাপরাশিতে ডুবে আমাদের অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় হৃদয়ের অলি-গলি৷ ক্ষণিকের এই দুনিয়ার মায়াডোরে বিভোর হয়ে ভুলে যাই আমাদের পরিচ্ছন্ন ঈমানের কথা।
    স্বয়ং‌ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন শেষ জামানায় ঈমান ধরে রাখা জ্বলন্ত অঙ্গার ধরে রাখার সমতুল্য।
    সুতরাং উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে মুমিনকে হতে হবে সুদৃঢ়, সত্যবাদী ও সত্যনিষ্ঠ। মুমিন কখনো শৈথিল্যবাদী হতে পারে না।
    এক পশলা বৃষ্টি যেমন অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন আকাশকে পরিস্কার করে, ঠিক তেমনই সঠিক ইলম ও ঈমানের পরিচর্যা ‌-পরিপূর্ণতায় হৃদয়াকাশে পরকালের সোপান তৈরি করে দেয়।

    📚 একনজরে বই পরিচিতি

    ▪️বই : সবার উপরে ঈমান
    ▪️সংকলক : শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সী
    ▪️প্রকাশনি : মাকতাবাতুল বায়ান
    ▪️পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৫২
    ▪️প্রচ্ছদ মূল্য : ৬৩৪ টাকা

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।