-30%
Previous product
Back to products যাররাতিন খাইরান (হার্ডকভার) ৳ 150 ৳ 115
Next product
নবিজির পরশে সালাফদের দরসে ৳ 242 ৳ 169
অনেক আঁধার পেরিয়ে
Rated 5.00 out of 5 based on 2 customer ratings
(2 customer reviews)৳ 275 ৳ 193
Author : মুহাম্মাদ জাভেদ কায়সার
Category : আত্ম-উন্নয়ন
মুহাম্মাদ জাভেদ কায়সার রাহিমাহুল্লাহ। ছিলেন আলোর পথের অবিচল যাত্রী। পৃথিবীর পথে পথে খুঁজে পাওয়া আলোকে তিনি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন মানুষের মাঝে। চিনিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সত্য, শাশ্বত, সরল পথের দিশা। তার সেই স্বপ্নের প্রয়াস “অনেক আঁধার পেরিয়ে”।
SKU: onek adhar periye Categories: অনুপ্রেরণা মোটিভেশন আত্ম-উন্নয়ন আত্মশুদ্ধি, সকল প্রকাশক Tags: আত্ম-উন্নয়ন, মুহাম্মাদ জাভেদ কায়সার, সমর্পণ প্রকাশন
Publishers:সমর্পণ প্রকাশন
Publisher
Publisher
সমর্পণ প্রকাশন

Reviews (2)
2 reviews for অনেক আঁধার পেরিয়ে
Add a review Cancel reply
Muhammad Tamimul Ihsan –
||বুক রিভিউ||
▪︎ আমরা যারা বর্তমান পৃথিবীতে বাস করে থাকি এবং আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হই বা হচ্ছি তাদের সবারই একটা উল্টা ধারণা হচ্ছে ইসলামকপ পুরোপুরি পালনের সময় এখনো আসেনি। ধর্ম-কর্ম তথা ইসলাম পালন করতে হয় শেষ বয়সে বা বুড়ো বয়সে। যখন এক পা কবরে চলে যায়। এমন একটি সমাজ ব্যবস্থায় আমরা বাস করছি যেখানে নারী-পুরুষের ফ্রি মিক্সিং,একসাথে চলাফেরা করা কোনো ব্যাপারই না। তার চেয়েও বড় সমস্যা বিবাহ বহির্ভূত জগন্য হারাম সম্পর্ক আমাদের সমাজে অহরহ দেখা যাচ্ছে। অবৈধ সন্তানও কম নয়। বর্তমানের সমাজ ব্যবস্থা তো এমন যে যাদের এসব হারাম সম্পর্ক নেই তারা ‘আধুনিক’ যুবক যুবতী হিসেবে ব্যর্থ। শুধু তাই ই নয়, এই ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে সে নিজেই নিজের কাছে ব্যর্থ। তার প্রিয়তমা/প্রিয়তম নেই বলে হাহাকারের শেষ নেই!
অথচ যে ছেলেটা এসব থেকে দূরে থেকে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে পালন করতে চায়,সে ছেলেটা অনেক সময় এই সমাজে হয়ে যায় এক ধরনের ক্ষ্যাত। হারাম রিলেশনশিপ,বিবাহ বহির্ভূত শারিরীক সম্পর্ক, গেট টুগেদার, লিভ টুগেদার,ডিজে পার্টি এসব থেকে বাঁচতে চাইলে সে হয়ে ওঠে একশ্রেণির মানুষের নিকট চরম বিরক্তিকর। কেন এরকম হচ্ছে কি কারণে হচ্ছে উত্তর পাওয়া যাবে বইটিতে।
▪︎ যে মানুষগুলো হালাল হারাম মেনে চলে,অন্য পরনারীর সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে না, সুদ-ঘুষের মতো হারাম বিষয়গুলো এড়িয়ে চলে, নিয়মিত জামাতে সালাত আদায়ের চেষ্টা করে থাকে, সর্বদা চেষ্টা করে থাকে অসহায় মানুষের উপকার করতে, নেকের পথে চলা সেই মানুষগুলো সম্পর্কে আপনার জানতে ইচ্ছা করে না? তারা কেন আপনার মতো স্বাধীন, তথাকথিত আনন্দঘন জীবন অতিবাহিত করে না? হাজারটা সুকের ঠিকান থাকা সত্ত্বেও কেন তারা দুনিয়ার সুখ কে পায়ে ঠেলে দিয়ে থাকে? কখনোই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে ইচ্ছে করে না? তারাও তো আপনার মতই রক্ত মাংসের মানুষ! তাদেরও আর্থিক ও জৈবিক সকল চাহিদা আছে। তাদেরও ইচ্ছে করে অবাধ স্বাধীনতার স্বাদ নিতে। কিন্তু কেন তারা সেটা পারে না জানতে ইচ্ছে করেনা?
এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে পড়তে হবে বইটি এবং জানতে হবে একজনের জীবনগল্প। সেক্যুলার জীবন থেকে আলোয় ফেরার যে কি অনুভূতি তা বইটি না পড়লে হয়তো বুঝা সম্ভব না।বইটির লেখাগুলো এমনই একজন মানুষের যার দুআ আল্লাহ কবুল করে নিয়েছিলেন। মক্কায় যার দাফন সম্পন্ন হয়। আল্লাহর কাছে সারাজীবন দুআ করেছিলেন যেন মক্কায় কিংবা মদিনায় তার মৃত্যু হয়।আল্লাহ কবুল করে নিয়েছিলেনও। মক্কায় অবস্থানকালীন রাব্বে কারীমের ডাক এসে যায়।
▪︎ বইটির লেখক এমন একজন মানুষ যিনি চাইলেই সেক্যুলার লেখক হিসেবে অনেক নাম, যশ,খ্যাতি অর্জন করতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। ফিরে এসেছেন দ্বীনের পথে,ন্যায়ের পথে,নূরের পথে। নাম যশ চান না এ জন্যই কোনদিন কোনো বই লিখেন নি কখনো। এই বইটি মূলত লেখকের বই না। তার ইন্তেকালের পর তার লিখিত ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো দিয়েই সাজিয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, তার ফিরে আসার গল্প থেকে একটি প্রাণ ও যদি দ্বীনের পথে ফিরে আসে তবে মুহাম্মাদ জাভেদ কায়সার (রাহিমাহুল্লাহু) সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে সাওয়াবের অধিকারী হবেন।
▪︎ বইটি কারা পড়বেন এবং কেন পড়বেন….?? বইটি তারা পড়বেন যারা কিছু শিখতে চান। কারণ বইটির পরতে পরতে আছে অনেক আত্নউপলব্ধির শিক্ষা, রয়েছে অগণিত চিন্তার খোরাক। বইটা যেন শিল্পীর ক্যানভাসে রং তুলিতে আকা আমাদের সমাজের নির্মম বাস্তব চিত্র। বইটা পড়ার সময় অনেক জায়গায় নিজেকে খুজে পেয়েছি। বইটি কখনো আমাকে ভাবিয়েছে, কখনো কাঁদিয়েছে, কখনো গায়ে কাটা দেওয়া অনুভূতি দিয়েছে আবার কখনো দিয়েছে নিজের অস্তিত্বের খোজ। সুযোগ করে দিয়েছে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করার।
▪︎ ব্যক্তিগত অনুভূতি : বইটি পড়ার সময় যে কি পরিমাণ কেঁদেছি বলে বুঝাতে পারবো না।মাঝে মাঝে মনে হয়েছে দ্বীনকে আসলেই আমি কতটুকু পালন করছি।দ্বীনের জন্য স্ট্রাগল কতটুকু করছি।আমার লাইফে আমি দুই থেকে তিনটি বই পড়ে কেঁদেছি এর মধ্যে এই বইটি অন্যতম।
তাই বইটি এমন কেউ নেই যাকে নরম হতে সাহায্য করেনি।আল্লাহ তাআলা লেখকের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিক এবং তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুক।আমিন….
ব্যক্তিগত রেটিং : ৫/৫
মাআসসালাম…………!!
Meher Afroz –
📗বুক রিভিউ📘
বইঃ অনেক আধার পেরিয়ে
লেখকঃ মুহাম্মদ জাভেদ কায়সার
সম্পাদকঃ আসিফ আদনান
প্রকাশনীঃ সমর্পণ প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৯২
পেশায় সেনাবাহিনী ছিলেন মুহাম্মদ জাভেদ কায়সার [মরহুমঃ]। পরে অবশ্য শারীরিক অসুস্থতা হেতু অবসর পান। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ২০১৫ সালে পরিবারসহ হজ্ব করার সুযোগ হয় তাঁর।প্রথমবার হাজ্ব সফরের দোয়া কবুলের স্থান এবং সময়গুলোতে বিশেষভাবে দুটো দোয়া করেছিলেন- প্রতিবছর যেন তাঁর হাজ্ব নসিব হয়। আর মক্কা কিংবা মদিনা যেন তাঁর শেষ ঠিকানা হয়। আলহামদুলিল্লাহ! মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর দোয়া কবুল করেছেন ব্যক্তিগত জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই সত্ত্বেও ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রতি বছর হাজ্জ করার সুযোগ পান তিনি। আবার, আল্লাহর সেই অশেষ রহমতে পঞ্চম বার হাজ্ব সফররত অবস্থায় ২৮শে আগস্ট দিবাগত রাতে মারাত্মক হার্ট অ্যাটাকে মক্কায় ইন্তিকাল করেন।
‘অনেক আধার পেরিয়ে’ বইটিতে মূলত মরহুম. জাভেদ কায়সার ভাইয়ের দ্বীনে আসার আগে ও পরের জীবনে ঘটে যাওয়া নানান রোমাঞ্চকর ঘটনা, ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে দেখতেন তিনি সমাজকে, মানুষগুলো থেকে পাওয়া তাঁর গল্প, উপলব্ধি,অভিজ্ঞতা, হাহাকার, খুশি, আত্মসমর্পণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিভাবে আল্লাহর ইশারায় ফেইসবুকের একটি স্ট্যাটাসের কমেন্ট বদলে দিল তাঁর সমস্ত জীবনটা! জানতে হলে পড়তে হবে পুরো বইটি।
যে কারণে বইটি পড়বেনঃ—
⇨ আপনার আমার মতো সাধারণ মানুষের কয়টা ইচ্ছে পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ হয়েছে? অথচ, মরহুম. মুহাম্মদ জাভেদ কায়সারের সেই আকাঙ্খিত ইচ্ছে পূরণ হয়ে গেছে। অবশ্যই! তিনি একজন অসাধারণ আল্লাহ ভীরু মানুষ ছিলেন।তাই তাঁকে জানতে হলেও পড়তে হবে বইটি।
⇨ যারা রিজিক নিয়ে চিন্তিত, ইসলামে ফিরবেন বলে নিয়ত করেছেন কিন্তু সাহস যোগাতে পারছেন না তাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য।
⇨ ইসলামে ফিরে যে মানুষটি নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সীমাহীন ভালোবাসার স্বরূপ নিজের নামের আগে মুহাম্মদ যুক্ত করে নাম পরিবর্তন করেছেন।তাঁর মতো নবী প্রেম হৃদয়পটে সৃষ্টি করতে বইটি পড়া উচিৎ।
⇨ রিয়া বা খ্যাতির ভয়ে যে মানুষটা কখনও বই লিখেননি, তাঁর উপদেশ গুলো, কথাগুলো জানার এবং বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য হলেও বইটি পড়তে হবে।
বইটি কিছু অংশঃ—
১. ‘অন্ধকার যত গভীর হয়,
ভোর ততই কাছে চলে আসে। ’
২.‘জন্মের পরে প্রত্যেক মানুষের জন্য
সব সবচেয়ে বড় সত্যটি হচ্ছে মৃত্যু। ’
৩. ‘পৃথিবীর সবচেয়ে উওম বিষয়ের
মধ্যেও আপনি কিছু না কিছু মন্দ বিষয়
খুঁজে পাবেন।’
৪. ‘জ্ঞানী মানুষের জ্ঞানের পরিচয় মিলবে তখনই যখন তিনি অকপটে কোন বিষয়ে স্বীকার করবেন “আমার জ্ঞান নেই” এই বিষয়ে।’
৫. ‘দুর্গন্ধময় স্থানে বেশি দিন থাকলে সেই দুর্গন্ধ সহ্য হয়ে যায়। একইভাবে, হারামের সাথে বসবাস করতে করতে ইদানীং আমাদের ভয়ংকর বিষয়কেও তুচ্ছ মনে হয়।’
৬.‘ আমার আজকের সমস্যাই হয়তো আগামীকাল আপনার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। কারও সমস্যাকেই তুচ্ছ মনে করার কারণ নেই।’
৭. ‘মানুষের বিচ্যুতি হতে পারে। এটি অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্ত যেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো, নিজের ভুলকে স্বীকার করার মানসিকতা।’
৮. ‘মুমিনদের কি সময় হয়নি-আল্লাহর স্মরণে ও যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তার কারণে হৃদয় বিগলিত হবার?’
(সূরা হাদীদ ৫৭|১৬)
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ—
ভাবতেই গায়ে শিহরণ জাগে যে এই বইয়ে এমন একজন মানুষের লেখা পড়ছি যাঁর মনের ইচ্ছে আল্লাহ কত দ্রুত কবুল করেছিলেন।তাছাড়া, ‘রিয়া’র [ লৌকিক ইবাদাত হয়ে যাওয়ার] ভয়ে যে মানুষটা বই লিখতেন না সেই মানুষটার বই এখন আমার হাতের নাগালে।কতটা তাকওয়াবান হলে এমন চিন্তাধারার মানুষ হওয়া যায়! সুবহানাআল্লাহ। আবার মনে চিকন ব্যথা অনুভব হয় যখন ভাবি, এখন আর উনার ঐ ফেসবুক আইডি ঘেটেও যুগ উপযোগী কোনো নতুন চিন্তার- নতুন বার্তা পাবো না!’
‘ অনেক আঁধার পেরিয়ে’ এই সেই বই! যার পরতে পরতে আছে আত্নউপলব্ধির শিক্ষা, রয়েছে অগণিত চিন্তার খোরাক।এ যেন রং তুলিতে আঁকা আমাদের সমাজের নির্মম বাস্তব চিত্রশালা। বইটা পড়তে গিয়ে কতবার যে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেছিলাম তার কোনো হিসেব রাখিনি।এমন কি বইটি হাত দিয়ে স্পর্শ করতে নিলেও ভেতরে একটা প্রশান্তি কাজ করে। বইয়ের পাতার অনেক জায়গায় নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। কখনো আমাকে ভাবিয়েছে, কখনো গায়ে কাটা দেওয়া অনুভূতি দিয়েছে। আবার কখনো দিয়েছে নিজের অস্তিত্বের খোঁজ।
আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা মোটিভেশনাল বই এটি। তাছাড়া লেখকের [মরহুমঃ
মুহাম্মদ জাভেদ কায়সার]-প্রতি এ ভক্তি ও ভালোবাসা কাজ করে তা কেবলই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। আমিন।
রিভিউদাতাঃ Meher Afroz.