নিজের জামা থেকে শুরু করে জুতা পর্যন্ত নিজেই সেলাই করতেন। নিজেই ঘর মুছতেন, বকরির দুধ দোহাতেন, পরিবারকে মাংস কাটায় সহায়তা করতেন। কেউ এলে নিজেই আতিথেয়তা করতেন, কথা বলতেন এবং তাদের প্রতি অত্যন্ত উদার ব্যবহার করতেন। যখন সফরে বের হতেন তখন পালাক্রমে একবার নিজে সাওয়ার হতেন, আরেকবার তার সাথীকে সাওয়ার হতে দিতেন। তার খাবার ছিল যবের রুটি। তিনি ঘুমাতেন মসজিদে। কখনো কখনো খালি পায়েও হাঁটতেন। দুজন সাওয়ার হলে তিনি পেছনে বসতেন, যাতে আরেকজনের ভ্রমণে কষ্ট না হয়। একদল মুসাফিরদের ভেতর থাকলে তিনি পেছনের দিকে থাকতেন, যাতে দুর্বল মুসাফিরদেরকে তিনি সাহায্য করতে পারেন, আর অন্যদের সাথে মিলেমিশে চলতে পারেন।
Copyright © 2024 Seanpublication.com
M. Hasan Sifat –
“নবীজি”– শব্দটা শুনলেই হৃদয়ে কেমন একটা ঢেউ খেলে যায় । এক অন্যরকম অনুভূতি এসে ভীড় জমায় হৃদয় গহীনে । সেই নবীজি (ﷺ) এর জীবনীকে শাইখ ড.আয়িয আল-কারনী উপস্থাপন করেছেন সুখপাঠ্য করে । যেখানে আবেগ-অনুভূতিগুলো কেন্দ্রীভূত হয়েছে অন্যরকম ভাবে । গল্প এঁকেছেন আঁধার জগতের এক মহামানবের । বাংলা ভাষায় যার মলাটবদ্ধ রূপ– “নবীজি” (ﷺ) ।
–
❒ বইয়ের আলোচ্য বিষয়—
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
এটি গতানুগতিক কোনো সীরাতগ্রন্থ নয় । এখানে গৎবাঁধা স্টাইলে নবীজির জীবনের বর্ণনা দেয়া হয়নি । নবীজির জীবনের বিভিন্ন দিক সুন্দর, সহজবোধ্য, সুখপাঠ্য এবং হৃদয়গ্রাহী করে তুলে ধরা হয়েছে । ড. আয়িয আল-কারনীর অতুলনীয় লেখনশৈলীর ফলেই বইটা হয়ে উঠেছে অনন্য ও অসাধারণ! বইটিতে স্থান পেয়েছে নবীজির ব্যক্তিজীবন । তার ধৈর্যধারণের পদ্ধতি, সহনশীলতা, বিনয়, আত্নত্যাগ, দয়ার পরিধি, বীরত্ব, একান্ত ইবাদাত, হাসি-কান্না ইত্যাদি । মোটকথা, বইটির পাতায়-পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে নবীজির সকাল-সন্ধ্যার ব্যক্তিজীবনের এক অন্যরকম উপাখ্যান ।
–
❒ বইটি কেন পড়বেন—
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
আমাদের নবীজি ছিলেন জীবন্ত কুরআন । কুরআনে যে বিষয়গুলো থিওরি আকারে আছে, নবীজির জীবনের দিকে তাকালে সেটাই জীবন্ত হয়ে ওঠে । এ বইটিতে নবীজির ব্যক্তিজীবনের সেই অমূল্য দিকগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে ।
নবীজির জীবনিকে নিজের জন্য ‘পাঠশালা’ বানিয়ে নিতে চাইলে অবশ্যই এই বইটা পড়তে হবে । বইটি যেকোনো সীরাত প্রেমিক পাঠকের হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণ করতে সাহায্য করবে ।
–
❒ পাঠ্যানুভূতি—
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
বইটা পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে, নবীজিকে আমি নিজ চোখের সামনে দেখছি । তাঁর হাসি থেকে শুরু করে তাঁর কান্না- সবকিছুই যেন আমাকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে । এটাযে অনূদিত বই বোঝার কোনো উপায়ই নেই । অনুবাদ খুবই প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী । মুরসালিন নিলয় ভাই বইটির অনুবাদ করেছেন । ভাষা সম্পাদকও বইটির পেছনে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে ।
“কুরআনের ভাষায় নবীজি” আর “নবীপ্রেম” এই অধ্যায় দুটি নবীজিকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে । হার্ডকভার হওয়ায় বইটি পড়তে খুবই ভালো লেগেছে ।
–
বাংলা ভাষায় নবীজিকে নিয়ে এ বইটি একটি নতুন সংযোজন । সম্পূর্ন ভিন্ন ধাঁচের একটি বই ।
নবীজিকে একদম শুরু থেকে কেউ জানতে চাইলে, চিনতে চাইলে এ বইটা অবশ্যই পড়া উচিত ।
–
–
বই— “নবীজি (ﷺ) : যেমন ছিলেন তিনি”
প্রকাশনী— সমকালীন প্রকাশন ।
নাফিসা ইয়াসমিন –
সমস্ত জাহেলিয়াতি পাপের ছোঁয়া বাঁচিয়ে শহরের জঞ্জালে বড় হতে থাকে একটি পবিত্র প্রাণ। তার নাম মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এতিম মোহাম্মদ (সা.) যখন কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে উপনীত হন সঠিক বয়সে, তখনি একদিন ঘটে এক আশ্চর্য ঘটনা। হেরাগুহায় নেমে আসেন আল্লাহর ফেরেশতা। প্রভুর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে দেওয়া হয় মহাদায়িত্ব। শুরু হয় বদলে যাওয়া ও বদলের ইতিহাস।
এই মহামানবের জীবনী ঘিরেই যুগের প্রখ্যাত দাঈ, শাঈখ ড. আয়িয আল-কারনী রচনা করেছেন এক অনবদ্য উপখ্যান।
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনের বিভিন্ন দিককে শব্দের পরম শৈল্পিকতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিনি।
পাঠ্য বইটির মূল উৎস গ্রন্থ মুহাম্মদ : কাআন্নাকা তারাহু।
সমকালীন প্রকাশন যার নাম দিয়েছে—- “নবীজি (ﷺ) যেমন ছিলেন তিনি”।
লেখক পরিচিতি
————————-
১৩৭৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৫৯ ইং সনে দক্ষিণ সৌদী আরবের করন জেলার আশ-শুরাইহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন্
অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন রিয়াদে। উচ্চতর পড়াশুনা করেন প্রাদেশিক শহর আবহায়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত অধ্যায়নের পরিধি সুবিস্তৃত ও অতুলনীয়।
ড. আয়েয আল করনী এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে আত-তাফসীরুল মুয়াসসার, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, আশিক, লা তাহযান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ড. করনী দাওয়াতের উদ্দেশ্য লেখালেখি, বক্তৃতা-বিবৃতি ও গ্রন্থরচনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস ও ইউটিউব ইত্যাদিতেও সমানভাবে সক্রিয়। তাঁর বক্তৃতার ক্যাসেটের সংখ্যা হাজার ছড়িয়ে গেছে।
বই-আলাপন(আলোচ্য বিষয়)
—————————————–
এটি গতানুগতিক কোনো সীরাতগ্রন্থের মধ্যে পড়েনা। এখানে গৎবাঁধা স্টাইলে নবীজির জীবনের বর্ণনা নেই। নবীজির জীবনের বিভিন্ন দিক সুন্দর, সহজবোধ্য, সুখপাঠ্য এবং হৃদয়গ্রাহী করে তুলে ধরা হয়েছে । ড. আয়িয আল-কারনীর অতুলনীয় লেখনশৈলীর ফলেই বইটা হয়ে উঠেছে অনন্য ও অসাধারণ! বইটিতে স্থান পেয়েছে নবীজির ব্যক্তিজীবন ।
পাঠ্য বইটিতে বিভিন্ন শিরোনাম নবীজির বংশ, জন্মভূমি শৈশব, নবুওয়াত যেমন স্থান পেয়েছে তেমনি সুন্দর ভাবে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন হয়েছে নবীজির সত্যবাদিতা,নবীজির ধৈর্যধারণ, মহানুভবতা,
সহনশীলতা, বিনয়, আত্নত্যাগ, দয়ার পরিধি, বীরত্ব, একান্ত ইবাদাত, নবীজির প্রাণভোলানো হাসি,
প্রিয় রাসূলের কান্না ইত্যাদি । মোটকথা, বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে নবীজির সকাল-সন্ধ্যার ব্যক্তিজীবনের এক টুকরো দলিল।
“কুরআনের ভাষায় নবীজি” অধ্যায় হৃদয়ে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করে ।
প্রিয় মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় বান্দাকে কত সুন্দর ভালোবাসার নামে সম্বোধন করেছেন তর তুলনা নেই। আল-কুরআন এর কতশত আয়াত নাযিল হয়েছে প্রিয় রাসূল কে কেন্দ্র করে।
স্বয়ং আল্লাহ পাক দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে
“নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী”
(সূরা-কালাম, আয়াত: 04)
নবীজির মহানুভবতা ,তাঁর আত্ম ত্যাগ, নবীজির সহনশীলতা, প্রিয় রাসূলের দয়া প্রতিটা অধ্যায়ে প্রিয় রাসূলের হৃদয়গ্রাহী কথা ফুটে উঠেছে।
পাঠ্যানুভূতি🍁
————————
নবীজীর সীরাত সম্পর্কিত গ্রন্থ পড়লেই হৃদয়ে কেমন একটা আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এক অন্যরকম আবেশ তৈরি হয়।
কতশত অনুভূতির সংমিশ্রণ এসে ভীড় জমায় হৃদয় গহীনে।
বইটা পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে, নবীজিকে আমি নিজ চোখের সামনে দেখছি । তাঁর হাসি থেকে শুরু করে তাঁর কান্না- সবকিছুই যেন আমাকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে । এটাযে অনূদিত বই বোঝার কোনো উপায়ই নেই । অনুবাদ খুবই প্রাঞ্জল ও হৃদয়গ্রাহী ।
কেন পড়বেন
——————-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন জীবন্ত এক কুরআন।কুরআনের ভাঁজে ভাঁজে প্রিয় নবীর পবিত্র কথামালার যে সন্নিবেশ আমরা দেখতে পাই, সেসবের এক জ্বলজ্বলে প্রতিবিম্ব ফুটে উঠেছে এই মহামানবের জীবনে।
নবীজির ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের ছায়া জীবন্ত হয়ে উঠেছে বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে।
নবীজির জীবনকে নিজের জন্য অনুপ্রেরণা বানিয়ে নিতে চাইলে অবশ্যই বইটা পড়তে হবে । বইটি যেকোনো সীরাত প্রেমিক পাঠকের হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণ করতে সাহায্য করবে ।
বই— “নবীজি (ﷺ) : যেমন ছিলেন তিনি”
প্রকাশনী— সমকালীন প্রকাশন ।