fbpx
মনীষীদের কাছে সময়ের মূল্য
মনীষীদের কাছে সময়ের মূল্য

মনীষীদের কাছে সময়ের মূল্য

260

You Save TK. 240 (48%)

মনীষীদের কাছে সময়ের মূল্য

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Description

আমরা সময়কে মূল্যায়ণ করি টাকার অঙ্কে। কত ঘণ্টা কাজ করলে কত টাকা পাবো। কিন্তু আমাদের সালাফগণ সময়কে দেখতেন ভিন্ন চোখে।
.
রাসূল ﷺ বলেন, ‘যখনই কোনো দিনের প্রভাত উদিত হয় তখনই সে মানুষকে সম্ভোধন করে বলে, “আদম সন্তান, আমি এক নতুন সৃষ্টি এবং তোমার কর্মের সাক্ষী। সুতরাং আমার থেকে পাথেয় সংগ্রহ করো। কেননা, কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আমি আর ফিরে আসব না।”‘

সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাযি. বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশী আফসোস ও পরিতাপ হয় এমন দিনের জন্য যে দিনের সূর্য ডুবে গেল,আমার দুনিয়ার হায়াত কমে গেল,অথচ সে দিনে আমার নেক আমল বৃদ্ধি পেল না!’
.
সময় ছিল আমাদের পূর্ববর্তীদের নিকট টাকার চেয়েও মূল্যবান। আসলে তাঁরা সময়কে মাপতেন আখিরাতের পাল্লায়। আখিরাতের পুঁজি গড়ার কাজেই তাঁরা সময় ব্যয় করতেন।

কেমন ছিল তাদের দিন-রাত? কেমন করে কাটত অবসর সময়? পূর্ববর্তীদের নিকট সময়ের মূল্য কেমন ছিল জানতে বইটি বেশ সহায়ক হবে।

Author

Author

শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ.

Reviews (1)

1 review for মনীষীদের কাছে সময়ের মূল্য

  1. Halim Abdullah

    রিভিউ
    .
    বই: মনীষীদের কাছে সময়ের মূল্য
    লেখক: শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ
    .
    হাসান আল বাসরি (রাহ.) বলেছিলেন, ‘আমি এমন অনেক ব্যক্তির সাহচর্য পেয়েছি, যারা তোমাদের মতো দিনার-দিরহাম সংরক্ষণের চেয়ে তাঁদের সময় সংরক্ষণে সুদৃঢ় ছিলেন।’ তাঁর এই কথা থেকেই বোঝা যায়, সালাফদের কাছে সময়ের কত মূল্য ছিলো। ‘দুটি নিয়ামতের ব্যাপারে অনেক মানুষ প্রতারিত হয়: সুস্থতা ও অবসর’ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদিসটিকে তাঁরা অন্তরে ধারণ করে চলতেন। আর, বর্তমানে আমরা সময়কে তুচ্ছজ্ঞান করি। এক অনলাইনই আমাদের সিংহভাগ সময়কে প্রতিনিয়ত গ্রাস করে নিচ্ছে। আত্মসমালোচনা ও নিজের বিবেককে নাড়া দেওয়ার জন্য ‘মনীষীদের কাছে সময়ের মূল্য’ বইটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে।
    .
    ❖ লেখক সম্পর্কে কিছু কথা:
    গত শতাব্দীতে ইসলামি অঙ্গনে যে ক’জন মহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটেছিলো, তাঁদের মাঝে শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রাহ.) ছিলেন অন্যতম। পূর্বসূরিদের কিতাবের পাণ্ডুলিপির তাহকিক, তাঁদের প্রকাশিত কিতাবের তাহকিক-তাখরিজ ও সমৃদ্ধ টীকা যুক্তকরণে তিনি ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। ফকিহ, মুহাদ্দিস, মুহাক্কিক, লেখক, ইসলামি আন্দোলনের অগ্রসেনানী—তাঁকে অনেক পরিচয়েই পরিচিত করা যায়। তাঁর রচিত ‘ইলমের ভালোবাসায় চিরকুমার উলামায়ে কিরাম’, ‘মনীষীদের কাছে সময়ের মূল্য’ এবং ‘জ্ঞানসাধনায় উলামায়ে কেরামের ত্যাগ ও কুরবানি’— বইগুলো পুরো পৃথিবীতেই সুনাম কুড়িয়েছে।
    .
    ❖ বইটিতে কী আছে?
    প্রথমেই সময়ের মূল্য সম্পর্কে কিছু মৌলিক কথা বলা হয়েছে। এরপর সময়ের মূল্য ও অপরিসীম গুরুত্ব সম্পর্কে কুরআন ও হাদিস থেকে সুন্দর আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। লেখক শুধু আয়াত বা হাদিস তুলে ধরে ক্ষান্ত হননি, বরং বিশ্লেষণসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক পয়েন্ট বের করে এনেছেন, যা আমরা পড়ি, কিন্তু সেভাবে চিন্তা করি না।
    .
    এরপর শুরু হয়েছে বইয়ের মূল বিষয়—সময়ের সদ্ব্যবহারে মনীষীদের অদম্য আগ্রহ। প্রথমে সাহাবিগণ, এরপর তাবিয়িন, তাবে-তাবিয়িন—এভাবে ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি যুগের জগদ্বিখ্যাত আলিম ও অন্যান্য জ্ঞানী ব্যক্তিদের উক্তি ও ঘটনা বিবৃত হয়েছে। সময়ের সদ্ব্যবহারে তাঁদের জীবন কীভাবে ধন্য হয়েছে, সময়ের ব্যাপারে তাঁদের অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাঁদের উল্লেখযোগ্য কীর্তি কী ছিলো—সেসব বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে।
    .
    মনীষীগণ প্রধানত ইবাদত-বন্দেগি ও ইলম অর্জনে ব্যস্ত থাকতেন, তাই লেখক এ সংক্রান্ত প্রচুর দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও তাঁদের সবর ও দুনিয়াবিমুখ জীবনযাপনের অনেক বর্ণনা আলোকপাত করেছেন। উদাহরণত: পূর্বের দিনের চেয়ে বর্তমান দিনটিতে যদি আমল বৃদ্ধি না হতো, তবে ইবনু মাসউদ (রা.) অনুশোচনা করতেন, ইমাম শাফিয়িসহ অনেক ইমাম রাতকে তিনভাগ করে নিতেন, একজন ইমাম ত্রিশ বছর বোনের হাতে খাবার খেয়েছেন—যাতে সময়টা হাদিস লিখার কাজে লাগানো যায়!
    .
    এভাবে ইমাম সুফিয়ান সাওরি, আবু ইউসুফ, ইবনু মাঈন, তাবারি থেকে নিয়ে খতিব বাগদাদি, ইবনুল জাউযি, রাযি, নববি, ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইবনু হাজার, সুয়ুতি—সবার কথাই এসেছে। বাদ যায়নি নিকট অতীতের শাওকানি, লাখনাভি, আলুসি, থানভিদের বর্ণনাও। রাহিমাহুমুল্লাহ।
    .
    ❖ বইটির প্রয়োজনীয়তা:
    (১) বইটি পড়ার মাধ্যমে ইলম অর্জনের প্রতি মনীষীদের দৃষ্টান্তহীন ধ্যান-জ্ঞান ও আত্মত্যাগ, ইলম অর্জনে তাঁদের অভিনব পদ্ধতি এবং গভীর মনোনিবেশ ও কঠোর সাধনার গল্পগুলো জানা যাবে। এর মাধ্যমে নিজের চেতনা জাগ্রত হবে এবং ইলমি পথচলার অসংখ্য দিক-নির্দেশনা লাভ করা যাবে। অবশ্য লেখক নিজেও এ সংক্রান্ত উপকারি অনেক কথাই আলোচনা করেছেন ২০০ পৃষ্ঠার পরে।
    .
    (২) জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ—সময়কে আমরা কীভাবে অবমূল্যায়ন করছি, তা সহজে উপলব্ধি হবে এবং নিজেদের ভেতর আত্মসমালোচনার সুযোগ তৈরি হবে।
    .
    (৩) মহান সালাফে সালেহিন ও নেককার ব্যক্তিদের ইবাদত-বন্দেগি এবং আল্লাহমুখী জীবনযাপনের ঘটনাগুলো গাফলতি দূর করতে সহায়ক হবে। জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
    .
    (৪) লেখকের ইন্তিকালের পর বইটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টীকা ও ভাষ্য যুক্ত করা হয়েছে; ফলে এটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। এই কাজটি করেছেন লেখকের সুযোগ্য সন্তান সালমান আবদুল ফাত্তাহ।
    .
    (৫) শুধু আলিমগণই নয়, বিভিন্ন যুগের বিশ্বসেরা মুসলিম দার্শনিক, চিকিৎসক, ইতিহাসবিদ, ভাষাবিদ ও বিজ্ঞানীদের ইলমি (জ্ঞানগত) দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের পঠনপদ্ধতি ও অন্যান্য ঘটনাবলীও আলোচনা করা হয়েছে। ফলে হরেক রকম স্বাদের সন্নিবেশ ঘটেছে বইটিতে।
    .
    ❖ বইটির নেতিবাচক দিক ও সতর্কতা:
    বড় ধরনের কোনো নেতিবাচক দিক চোখে পড়েনি। তবে, মনীষীদের অনেক অভিন্ন ঘটনার বর্ণনা কিছু ক্ষেত্রে বাহুল্য মনে হতে পারে। সময়ের মূল্যায়নে কোনো কোনো মনীষীর অতিরঞ্জিত প্রান্তিক মনোভাব বিরক্তিকর ঠেকতে পারে। যেমন: কেউ কেউ খাবারের সময়টাকে ‘অসহনীয়’ গণ্য করেছেন; কারণ এই সময়টিতে ইলম অর্জন করা যায় না। কেউ ইলম অর্জনে এত ব্যস্ত থাকতেন যে, অন্য কেউ কথা বলতে আসলে সময় দিতেন না। ইলমি দরসে উপস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে একজন নিজের সন্তানের দাফন-কাফনে অংশ নেননি। একজন তো বাসর রাতেও ইলম অন্বেষণে ব্যস্ত ছিলেন—নববধুর দিকে ফিরেও তাকাননি!
    .
    এসব ঘটনা পড়ার সময় খারাপ লাগতে পারে বা বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। তবে, এই মহান মনীষীগণকে তাঁদের জীবনের কোনো একটি ঘটনা দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না। তাঁদের এসব ঘটনার পেছনেও কোনো বিশেষ কারণ থাকতে পারে। বইটি পড়ার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
    .
    ❖ সংক্ষিপ্ত অনুভূতি:
    বইটি পড়ার পর নিজেকে স্রেফ দেউলিয়া মনে হয়েছে। পূর্বসূরিদের ঘটনাগুলো অবাক বিস্ময়ে পড়েছি। তাঁদের জীবনপ্রবাহ থেকে ইলমি জগতের খুঁটিনাটি অনেক বিষয় জানতে পেরেছি। এছাড়াও তাঁদের জীবনে সফলতার অনুঘটক ও উপকরণগুলো জেনে নিজের ভেতর প্রেষণা লাভ করেছি।
    .
    ❖ বইয়ের অন্যান্য দিক:
    বইয়ের প্রচ্ছদ খুব ভালো লেগেছে। হার্ড কভার, সুন্দর পৃষ্ঠাসজ্জা ও বিন্যাসে বইটি বেশ সুন্দর হয়েছে। অনুবাদক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক; বেশ সাবলীল অনুবাদ করেছেন। প্রয়োজনবোধে নিজেও কিছু সুন্দর টীকা যুক্ত করেছেন। বইটি পড়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান থাকলো।

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।