fbpx
যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন (হার্ডকভার)
যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন (হার্ডকভার)

যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন (হার্ডকভার)

Author : শাইখ ইবরাহিম ইবনু সালেহ আল মাহমুদ
Translator : সামী মিয়াদাদ চৌধুরী
Publisher : পথিক প্রকাশন
Category : ব্যক্তিগত পারিবারিক ও সামাজিক জীবন

96

You Save TK. 64 (40%)

যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন (হার্ডকভার)

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Author

Author

শাইখ ইবরাহিম ইবনু সালেহ আল মাহমুদ

সামী মিয়াদাদ চৌধুরী

Reviews (3)

3 reviews for যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন (হার্ডকভার)

  1. Din Muhammad Sheikh

    ডেল কার্নেগির “How to Win Friends and Influence People” বইটার নাম কমবেশি আমরা সবাই জানি। আশপাশের মানুষদের মন কীভাবে জয় করবেন, কীভাবে তাদেরকে নিজের প্রতি প্রভাবিত করবেন – এসব বিষয়ে বইটি। এ বইটি ছাড়াও এ জাতীয় বিষয়ে অসংখ্য বই পাবেন ‘লাইব্রেরি অভ কংগ্রেস’ থেকে শুরু করে নীলক্ষেতের টঙের দোকানগুলোতেও। অথচ জগতসংসারে সবচেয়ে কাছাকাছি থাকেন যারা, এমনকি যারা একে অপরের পোশাক, তারা একে অপরের মন কীভাবে জয় করবেন, উভয়ের মধ্যকার সম্পর্ক কীভাবে টিকে থাকবে শান্তিতে – এ বিষয়ে বইপত্র, বিশেষত ইসলামি বইপত্র তেমন একটা পাবেন না। এ বিষয়ের বইগুলো বেশ জরুরি। আর এ জরুরতকে অনুভব করেই ইদানিং ইসলামি প্রকাশনীগুলো বেশ কিছু বই বের করেছে অত্র বিষয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় পথিক প্রকাশনও বাজারে এনেছে, ‘যেভাবে স্ত্রীর হৃদয় জয় করবেন’ ও ‘যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন’ বই দুইটি। আজ আমরা কথা বলবো ‘যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন’ বইটি নিয়ে। ইনশাআল্লাহ।

    ▪️ একনজরে বইটি :
    • বই : যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন
    • মূল নাম : How to Win Your Husband’s Heart
    • লেখক : শাইখ ইবিরাহিম ইবনু সালেহ আল মাহমুদ
    • অনুবাদক : সামী মিয়াদাদ চৌধুরী
    • শরঈ সম্পাদনা : সাইফুল্লাহ আল মাহমুদ
    • প্রকাশনী : পথিক প্রকাশন
    • প্রকাশকাল : অক্টোবর, ২০১৯
    • পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৬৩
    • প্রচ্ছদমূল্য : ১৯৬/-
    • কভার : জ্যাকেট ছাড়া হার্ডকভার

    ▪️ বইয়ের আলোচ্য বিষয় :

    স্ত্রীর জন্য ‘স্বামী’ এক ভরসার নাম। এক কেন্দ্রের নাম, যাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তার দিনরাত। সেই স্বামীকে কীভাবে সন্তুষ্ট রাখা যায়, কীভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করা যায়, এ বিষয়ের একটি প্রেসক্রিপশন অত্র বইটি।

    ▪️ বইয়ের আদ্যোপান্ত :

    বইটি শুরু হয়েছে ‘প্রাককথন’ শিরোনামে শরঈ সম্পাদকের কথা দিয়ে। সম্পাদক (হাফি:) এখানে খুব অল্প কথায় সুখকর দাম্পত্য জীবনে স্বামীর হৃদয় জয় করার জন্য স্ত্রীর কিছু দায়িত্ব উল্লেখ করেছেন।

    এরপর ‘অবতরণিকা’ শিরোনামে এসেছে লেখকের কথা। লেখক কেন এই বইটি লিখলেন, তা সংক্ষেপে জানিয়েছেন এখানে।

    এরপর শুরু বইয়ের মূল আলোচনা। বিবাহিত জীবনে গুনাহ কীভাবে প্রভাব ফেলে, এ বিষয়ে সংক্ষেপে বলার পরপরই লেখক ‘স্বামীর প্রতি আনুগত্য’ শিরোনামে বইয়ের উদ্দিষ্ট আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। এখানে লেখক কুরআন-হাদিস থেকে স্বামীর প্রতি অনুগত থাকার গুরুত্ব ব্যক্ত করেছেন। এর পরই লেখক কুরআন-হাদিসের আলোকে পুরুষদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন উত্তম স্ত্রী নির্বাচনের গুরুত্ব।

    কর্মস্থল থেকে ফেরার পর স্ত্রী স্বামীকে কীভাবে অভিবাদন জানাবে, স্বামীর জন্য সাজসজ্জা করার গুরুত্ব, স্ত্রীর ওপর স্বামীর কী কী হক রয়েছে, কীভাবে একজন স্ত্রীর গুণে সংসার সুখের হয়, পুরুষদের সফলতার পেছনে কীভাবে নারীদের ভূমিকা থাকে – এসব বিষয়ে সংক্ষেপে চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।

    মেয়ের প্রতি একজন মায়ের নসীহাহ, মেয়ের প্রতি একজন বাবার নসীহাহ হিসেবে সালাফদের বিভিন্ন উপদেশবাণী থেকেও বেশ কিছু বর্ণনা করা হয়েছে এখানে।

    শেষের দিকে পয়েন্ট আকারে আছে স্বামীর হৃদয় জয় করার দারুণ কিছু টিপস, যা জানা একজন স্ত্রীর জন্য বেশ দরকারি।

    একদম শেষে আছে ‘স্বামীর হৃদয়-রানী হওয়ার জন্য ৬০টি উপায়’ শিরোনামে অসাধারণ ৬০টি টিপস। তবে এ আলোচনাটুকু সম্ভবত মূল বইয়ের অংশ নয়।

    ▪️ বইটির প্রয়োজনীয়তা :

    আজকাল দেশে ডিভোর্সের হার বেড়ে গেছে মারাত্মকভাবে। গতবছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকায় প্রতিদিন ৫১টা ডিভোর্স হয়! পান থেকে চুন খসলেই ডিভোর্স! স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আজ হারিয়ে গেছে। পাশ্চাত্যের আগ্রাসনে মুসলিম পরিবারগুলো আজ বস্তুগত সুখের পেছনে ছুটছে। স্বামী-স্ত্রী পারস্পরিক দায়িত্বকে ‘উটকো ঝামেলা’ হিসেবে দেখছে। এমতাবস্থায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধকে জাগিয়ে তোলার জন্য ‘ইসলামি দৃষ্টিকোণ’ সবাইকে জানানো অত্যন্ত জরুরি। আর এ জরুরত মেটাতে আপনাকে বেশ কিছুটা সাহায্য করবে পথিক প্রকাশনের ‘যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন’ বইটি।

    ▪️ যাদের জন্য বইটি :

    সাধারণভাবে বইটি সবার জন্য জরুরি।

    • বইটি বাবার জরুরি তার মেয়েকে উপদেশ দেওয়ার জন্য।
    • বইটি ভাইয়ের জরুরি তার বোনকে নিজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
    • বইটি স্বামীর জরুরি তার স্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য।

    বিশেষভাবে প্রতিটি নারীর জন্য এ বইটি।

    ▪️ বইটির বিশেষত্ব :

    সংক্ষেপে যদি বইটির বিশেষ দিকগুলো বলতে যাই, তাহলে এভাবে বলা যায় :

    • সরল অনুবাদ, যা পড়ে মনেই হয় না যে, এটা অনূদিত বই।
    • কুরআন-হাদিস ও সালাফদের বইপুস্তক থেকে অনেক রেফারেন্সের অন্তর্ভুক্তি।
    • বেশ মোটিভেশনাল আলোচনা।
    • শক্ত কভার ও পোক্ত বাইন্ডিং।
    • প্রাসঙ্গিক প্রচ্ছদ।

    ▪️ বইটির মন্দত্ব :

    পাঠক হিসেবে বইটিতে কিছু কমতি বা মন্দত্ব লক্ষ্য করেছি আমি।

    • লেখক পরিচিতি নেই! লেখক শাইখ ইবরাহিম ইবনু সালেহ আল মাহমুদ এ দেশে অত পরিচিত নন। তাই বইয়ের শুরুতে লেখক সম্পর্কে দু’চারটে কথা থাকার জরুরত বোধ করেছি।

    • বইটির শেষের দিকে ‘স্বামীর হৃদয়-রানী হওয়ার ৬০টি উপায়’ শিরোনামে যে অংশটুকু যুক্ত হয়েছে, তা সম্ভবত মূল বইয়ের অংশ নয়। এখানে শিরোনামের নিচে লেখাই আছে ‘সংকলন ও অনুবাদ : মুহসীন আব্দুল্লাহ’। কথা হচ্ছে, এই অংশটুকু তাহলে কোথাকার! কোন বই থেকে নেওয়া হলো? আর এ সম্পর্কে বইয়ের শুরুতে কেন বলা হলো না? প্রকাশকের পক্ষ থেকে বইয়ে কোনো কথা নেই। সম্পাদক (হাফি:) কিছু কথা বলেছেন। তবে তিনি এ সম্পর্কিত কিছুই বলেননি। এমনকি তিনি মূল বই সম্পর্কেও কিছু বলেননি। তাঁর ‘প্রাককথন’-এ তিনি মূলত অল্প কথায় সুখকর দাম্পত্য জীবনে স্বামীর হৃদয় জয় করার জন্য স্ত্রীর কিছু দায়িত্ব উল্লেখ করেছেন।

    • টুকটাক বানানবিভ্রাটও লক্ষ্য করা গেছে, যদিও তা খুব বেশি নয়।

    তো, টুকটাক ত্রুটিগুলো বাদ দিলে, বইটি আসলে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। উপকারী একটি বই। আল্লাহ বইটিকে কবুল করুন। আমীন।

  2. সিরাজাম বিনতে কামাল

    📚প্রাককথন:
    ——————–

    পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ❝আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়।❞
    ||সুরা নাবা: ০৮||

    আল্লাহ মানবজাতিকে দু’ভাগে সৃষ্টি করেছেন- পুরুষ আর নারী। একজন পুরুষ নারী ছাড়া যেমন পরিপূর্ণ নন, ঠিক তেমনি একজন নারীও পুরুষ ছাড়া পরিপূর্ণ নন। সৃষ্টিগতভাবেই আল্লাহ তা’আলা নারী পুরুষ একে অপরের সহায়ক এবং মুখাপেক্ষী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আর নারী পুরুষের এই সম্পর্ক স্থাপন হয় বিবাহের মাধ্যমে। বিবাহের মাধ্যমে নারী পুরুষ একত্র হলে এই সম্পর্ক হালাল হয়ে যায়।

    আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, ❝ আর নারীদের মধ্যে যাদেরকে ভালো লাগে তাদের থেকে বিয়ে করে নাও।❞ ||সুরা নিসা: ০৩||

    বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। এই সম্পর্ক যত দৃঢ় হবে, গভীর হবে ব্যক্তিগতভাবে একটা মানুষ ঠিক ততটাই সুখী হবে। শত বাধা-বিপত্তি, ঝড়-ঝঞ্ঝাতেও সে সুখ খুঁজে পাবে। কারণ তার রয়েছে একজন প্রকৃত জীবনসঙ্গী/ জীবনসঙ্গিনী।

    আমরা অনেকেই ভাবি সুখ নিহিত থাকে অর্থ-কড়ি, সহায়-সম্পত্তিতে। আসলে এগুলো সুখের মূল চাবিকাঠি নয়। সুখ থাকে প্রেম ভালোবাসায়। পৃথিবীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, কারো কারো কোটি টাকার সংসারও টিকে থাকে নি। আবার ছোট্ট কুটিরেও কেউ কেউ সুখের স্বর্গ গড়ে তুলেছে।

    সাংসারিক জীবনে সুখী হতে হলে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পৃথিবী হতে হয়। স্বামীর ভেতর স্ত্রী পৃথিবী খুঁজে নেয় আর স্ত্রীর ভেতর স্বামী পৃথিবী খুঁজে নেয়। এদের একজন ছাড়া অন্যজন অচল হয়ে পড়ে। একে যেনো অন্যের হৃদয়।

    একজন স্ত্রীই পারে পুরো একটা সংসার সাজাতে। কারণ, নারী তো সংসার গড়ারই কারিগর। নারীকে হতে হবে সুগন্ধি ফুল। যে সুগন্ধি বিলিয়ে জয় করে নিবে তার স্বামীর ভালোবাসা। তার সুন্দর আচরণে মৌ মৌ ঘ্রাণে মুখরিত হবে স্বামীর সংসার।

    📚বই কথন:
    ——————

    আজকের আলোচ্য বইটি শাইখ ইবরাহিম ইবনু সালেহ আল মাহমুদ রচিত ‘How to win your husband’s heart’ গ্রন্থ। অনুবাদ করেছেন সামী মিয়াদাদ চৌধুরী ‘যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন’ শিরোনামে।

    বইয়ের শিরোনাম স্পষ্টতই জানান দিচ্ছে বইটি কি সম্পর্কে লেখা। হ্যাঁ, একজন স্ত্রী কীভাবে তার স্বামীর হৃদয় জয় করে নিয়ে পৃথিবীতে গড়ে তুলবে সুখ স্বর্গ! তা বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়।

    বইয়ের সূচিপত্র থেকে কিছু চৌম্বকাংশ নিচে তুলে ধরছি:

    🔺 স্বামীর প্রতি আনুগত্য
    🔺 উত্তম স্ত্রী নির্বাচন
    🔺 একজন উত্তম স্ত্রীর উদাহরণ
    🔺 স্বামীর জন্য সাজসজ্জা
    🔺 স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
    🔺 অমূল্য নাসিহা
    🔺 তুমিই হবে তোমার স্বামীর মনের রানী
    🔺 সন্তান লালন পালন
    🔺 আন্তরিক কিছু উপদেশ
    🔺 যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন।

    সবচেয়ে পছন্দের যে বিষয়টি তা হলো, বইয়ে স্বামীর হৃদয় রানী হওয়ার ৬০টি উপায় দেওয়া হয়েছে। যেগুলো বোনদের জন্য খুবই উপকারী মনে হয়েছে।

    💠তাছাড়া বইয়ের “কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর” পর্বটাও খুবই ভালো লেগেছে। যেখানে ছয়টি প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারব,

    👉 সবচে’ সুন্দরী নারী কে!
    👉 সবচে’ সুখী নারী কে!
    👉 সবচে’ দুর্ভাগা নারী কে!
    👉 একজন মুমিন নারীর গুণ কি কি!
    👉 স্বামীকে ভালোবাসা সত্ত্বেও কোন নারী যদি দেখে স্বামীর চরিত্রের কোন একটি দিক তার জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে না, তখন তার কি করা উচিত!
    👉 একজন স্ত্রী তার স্বামীকে কিভাবে সুখী করতে পারে!

    💠 উমামাহ বিনতে আল-হারিস তার মেয়েকে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ বইয়ে উল্লিখিত হয়েছে। যা খুবই ভালো লেগেছে। বইয়ের কিছু অংশে সম্বোধন করা হয়েছে “প্রিয় মেয়ে আমার! হে আমার কন্যা!” বলে। আবার কিছু রয়েছে “হে আমার দ্বীনি বোন! হে আমার বোন!” যেগুলো খুব সহজেই কোমলমতি নারীদের মন কেড়ে নিবে। এবং বইটি সহজেই পাঠকের মন জয় করে নিবে বলে আমার বিশ্বাস।

    📚বই থেকে কিছু প্রিয় লাইন:
    —————————————

    💠 রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন-
    “জীবন আনন্দদায়ক, আর সবচেয়ে মধুর আনন্দ হচ্ছে একজন উত্তম স্ত্রীর সাহচর্য।”

    💠 চারটি বস্তু মানুষের সুখের কারণ- একজন উত্তম স্ত্রী, একটি বৃহদাকার বাড়ি, একজন উত্তম প্রতিবেশী, একটি আরামদায়ক বাহন।

    💠 উত্তম স্ত্রীই পারে হৃদয় বাগের ফুটন্ত ফুল দিয়ে স্বামীকে সাজাতে।

    💠 ভালোবাসা দুর্দমনীয় চরিত্রের ব্যক্তিকেও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে এবং তার অন্তরে জাহেলিয়্যাতের বুনিয়াদকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে পারে।

    💠 যদি তুমি তোমার স্বামীর দাসী হতে পারো, তবে তোমার স্বামীও তোমার দাস হবে।

    📚পরিশেষে:
    ——————–

    বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অধিকহারে বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি, মুসলিম সমাজে তালাক সংক্রান্ত জটিলতার প্রসার, স্বামীর বিভিন্ন ব্যাপারে স্ত্রীর অধিক হস্তক্ষেপ এবং স্বামীর নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা, পাশ্চাত্যের বিভিন্ন ধ্যান-ধারণার অনুসরণ ও কুরুচীপূর্ণ সিনেমা দেখার প্রতি মুসলিমদের অধিক আগহ দিন দিন বেড়েই চলছে। আর মুসলিম সমাজের এই অধঃপতনের সময়ে বইটি খুবই সময়োপযোগী বলে আমার মনে হয়েছে।

    বইয়ে উল্লিখিত কুরআন ও হাদীসের বাণী, মনীষীগণের বাণী, অনূদিত ভাষা ব্যবহার বরাবরের মতোই প্রশংসনীয়। ফুটনোটে রেফারেন্স এড করে দেওয়া হয়েছে এবং সহজবোধ্য হৃদয়গ্রাহী সম্বোধন খুব সহজেই পাঠকের মন জয় করে নিবে। ইন শা আল্লাহ! যদিও কিছু বানান ভুল রয়েছে, আশা করি পরের সংস্করণে কর্তৃপক্ষ তা খেয়াল করবেন। এক লহমায় পড়ে ফেলা বইগুলোতে বানান ভুল থাকলে কিছুটা বিরক্ত তো লাগবেই।

    বইটি কলেবরে ছোট হলেও গুরুত্বের দিক থেকে বিশাল।তাছাড়া বইয়ের প্রচ্ছদটাও হয়েছে বেশ নজড়কাড়া। মাশা’আল্লাহ! শুধু নারী নয়, বরং নারী-পুরুষ উভয়েই এ’রচনা দ্বারা উপকৃত হবেন, ইন শা আল্লাহ!

    এবার আপনার পালা। বইটি সংগ্রহ করে পড়ে নিন বা প্রিয়জনদের উপহার দিন। পৃথিবীতেই যেনো আমরা, আমাদের প্রিয়জনেরা গড়ে নিতে পারি সুখ স্বর্গ।

  3. কামরুননাহার মীম

    পাশ্চাত্যের আধুনিকতার সাথে তাল মিলাতে গিয়ে যখন মানুষ পারিবারিক বন্ধন ভাঙার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়, তখন বুকটা হাহাকার করে উঠে। যেই সম্পর্কটার সূচনা ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, যার উপসংহার টা হওয়া উচিত ছিল জান্নাতের সবুচ বাগিচায় প্রিয় দুজনের অনাবিল আনন্দে কাটানোর মুহুর্তের স্বপ্নে। সেই উপসংহারটা ঘটে নানা জাগতিক সমস্যার কারণে, সুন্দর উপসংহারের বদলে হয় মনোমালিন্যময় এক উপসংহার৷ সূরা বাকারায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা বলেন, “নারী পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক।” অর্ধেক দ্বীন পালন করতে গিয়ে যখন দ্বীন ঝুঁকির মুখে পড়ে, তখন দাম্পত্যের ছন্দপতনকে ছন্দমিলনে রূপান্তরের বার্তাবহ বইয়ের বড্ড প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয়।

    আমাদের মাঝের সেই অভাব টুকুর শূন্যতা পূরণ করতে পথিক প্রকাশনীর ” যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন ” বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আশেপাশের মানুষের মন জয় করে তাদের সামনে নিজের সম্মানটুকু বজায় রাখার প্রচেষ্টা আমাদের প্রায় অনেকেরই; কিন্তু স্বামীর হৃদয়ের গহীনে একটা জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা রীতিমতো একটা সময় অপচয় আমাদের কাছে। ঘরের লোকের সামনে আবার কীসের মন জয়!

    বিবাহিত জীবনে আমাদের গুনাহের প্রভাব, স্বামীর প্রতি আনুগত্য, উত্তম স্ত্রী নির্বাচন পদ্ধতি, গুরুত্ব, একজন সুন্দরী নারীর বৈশিষ্ট্যসহ নানা চমৎকার শিরোনামে সাজানো হয়েছে বইটি৷ স্বামীর জন্য করণীয় স্ত্রীর নানা বিষয়ের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন লেখক। সাজসজ্জার গুরত্বারোপ, কর্মস্থল থেকে ফিরে আসা স্বামীর যত্ন, একজন নারীকে দেওয়া তার বাবা-মায়ের কিছু নসীহা বাক্য, কিছু উপদেশসহ সংসারকে কীভাবে নারীর গুণে সুখী করা যায়, স্বামীর হৃদয় যেভাবে জয় করা যায় সেইসব বিষয়ের কুরআন-সুন্নাহ সম্বলিত আলোচনা করেছেন ও টিপস দিয়েছেন। এছাড়াও সালাফদের নানা ঘটনার মাধ্যমে উপলব্ধির দুয়ার উন্মোচন করেছেন। বইটির শুরু থেকে শেষটা অত্যন্ত সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে টু দ্যা পয়েন্ট লিখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটা বিষয় হলো, বইটির শেষে ৬০টি চমৎকার টিপস দেওয়া ছিল যদিও তা অন্য এক অনুবাদকের থেকে সংগৃহীত।

    বলা হয়, “সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে”। প্রকৃতপক্ষেই সংসারের সুখ বেশিরভাগই নির্ভর করে স্ত্রীর গুণে। এই নারীর কারণে সংসার গড়ে উঠতে পারে এক টুকরো জান্নাতে; কিংবা জাহান্নামে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভর করে নারীর উপর, তার মানে এই নয় যে স্বামীর গুণ বা দোষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। যাই হোক, ক্রমশই পাশ্চাত্যের বন্ধনের নড়বড়ে অবস্থার মতন আমাদের উম্মাহর যুগলদের মাঝেও বাড়ছে কলহ আর সম্পর্কের ছন্দপতন। আর ঠিক সেই জায়গাটা থেকে এই বইটির প্রয়োজনীয়তা অনেক।

    আমার প্রতিটি বোনের জন্য এই বই, যিনি একজন মা, কারো স্ত্রী, কারো মেয়ে। একজন স্বামীর জন্য এই বই যিনি তার স্ত্রীকে এই বই উপহার দিতে পারেন।
    অত্যন্ত সহজ-সরল অনুবাদ, অসাধারণ শব্দচয়ন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোকপাত, চমৎকার প্রচ্ছদ, অসাধারণ কিছু টিপস প্রতিটি বিষয় বইটির গ্রহণযোগ্যতা অধিকতর বাড়িয়ে দিয়েছে। ৬০ পৃষ্ঠার এই একটি বই হতে পারে কারো সংশোধনের জায়গা কিংবা কারো জীবনের গতিপথ বদলানোর উসিলা৷ বইটি সময় উপযোগী একটা বই।

    বই : যেভাবে স্বামীর হৃদয় জয় করবেন
    মূল নাম : How to Win Your Husband’s Heart
    লেখক : শাইখ ইবরাহিম ইবনু সালেহ আল মাহমুদ
    অনুবাদক : সামী মিয়াদাদ চৌধুরী
    শরঈ সম্পাদনা : সাইফুল্লাহ আল মাহমুদ
    প্রকাশনী : পথিক প্রকাশন
    পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৬৩
    প্রচ্ছদমূল্য : ১৯৬/-

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।