কেউ দিনে শত মাইল অনায়াসে হাঁটতে পারে; আবার কেউ অর্ধমাইলও হাঁটতে পারে না। কেউ এক বসাতে কয়েক কেজি খেতে পারে; আবার কেউ সামান্য পরিমাণ খেলেই হাঁপিয়ে ওঠে।
মানুষের অন্তরও ঠিক একই রকম। কেউ এক ঘণ্টায় দশ পৃষ্ঠা মুখস্থ করে ফেলতে পারে; আবার কেউ কয়েক দিনেও আধা পৃষ্ঠা মুখস্থ করতে পারে না। অতএব, যে ব্যক্তি কয়েক দিনে আধা পৃষ্ঠা মুখস্থ করতে পারে না, সে যদি দশ পৃষ্ঠা মুখস্থ করতে যায়, তাহলে সে বিরক্ত ও হতাশ হয়ে পড়বে। যেটুকু মুখস্থ করেছিল, একসময় সেটুকুও ভুলে যাবে। ফলে পড়া না-পড়া, উভয়ই সমান হয়ে যাবে।
ইসলামের ইতিহাসে এমন অনেক মহামনীষীর আগমন ঘটেছে, যারা দ্রুত হিফযের ক্ষেত্রে রীতিমতো বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন । প্রথম প্রচেষ্টাতেই অত্যন্ত জটিল ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় মুখস্থ করে ফেলেছেন । এরপর আর কখনো দেখার বা পড়ার প্রয়োজন বোধ করেননি।
হিফযের উপযোগী বিশেষ কিছু সময় রয়েছে। কেউ হিফয করতে চাইলে তার এই সময়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। হিফযের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো রাতের শেষভাগ, তারপর দুপুর এবং তারপর সকাল। সন্ধ্যাবেলা হিফযের উপযুক্ত সময় নয়। তবে দিনে মুখস্থ করার চেয়ে রাতে মুখস্থ করাই শ্রেয়। সালাফদের মুখস্থের সময় ছিল রাতের বেলা। কারণ, এ সময় মস্তিষ্ক ভারমুক্ত থাকে। আর ভারমুক্ত মস্তিষ্ক খুব সহজে ও স্বল্প সময়ে মুখস্থ করতে পারে।
হিফয করতে হলে বইটি রচিত হয়েছে সেসব বিষয় বিবেচনা করে; মনীষীদের অভিজ্ঞতা ঘটনা ও উক্তি যুক্ত করে। যেন আমি আপনিও সহজে মুখস্থ করতে পারি আল্লাহর কালাম।
Reviews
There are no reviews yet.