fbpx
ফিতনার যুগে করণীয়
ফিতনার যুগে করণীয়

ফিতনার যুগে করণীয়

লেখক : শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম
প্রকাশনী : ইহসান পাবলিকেশন
বিষয় : ইসলামী জ্ঞান চর্চা
অনুবাদক : মুফতি আরিফুর রহমান
সম্পাদক : মানসূর আহমাদ
পৃষ্ঠা : 200, কভার : পেপার ব্যাক

 

173

You Save TK. 94 (35%)

ফিতনার যুগে করণীয়

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Description

ঘনীভূত মেঘের মতো ক্রমাগত ধেয়ে আসা ফিতনা; গভীর অন্ধকার রাতের মতো কিংবা গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মতো, অন্ধ ও বধিরের মতো সবার ওপর চড়াও হওয়া ফিতনা; যাতে পড়ে মানুষের জ্ঞান লোপ পায় এবং অন্তর মরে যায়— এসব ফিতনা থেকে কেবল সে-ই বাঁচতে পারে, যাকে মহা মহিয়ান আল্লাহ রক্ষা করেন।

ফিতনা থেকে বাঁচতে ফিতনা সম্পর্কে জানতে হবে, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সজ্জিত হতে হবে। আমল ও সাধনার মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। যাতে করে যেকোনো ফিতনা ধেয়ে আসলে সেটি থেকে নিজেকে রক্ষা থাকা যায়। এইসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা পেতে বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য ‘ফিতনার যুগে করণীয়’ বইটি হবে অনন্য ও অসাধারণ।

Author

Author

শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম

Reviews (3)

3 reviews for ফিতনার যুগে করণীয়

  1. Din Muhammad Sheikh

    বহুবিধ ফিতনার নানামুখী আক্রমণে আজ আমরা জর্জরিত। ফিতনার করাল থাবায় আমাদের ইমান আজ যায়-যায় অবস্থা। আমাদের অনেকেই ইমান নিয়ে ঘর থেকে বেরুনোর পর হয়তো-বা ইমান নিয়ে ফিরতে পারি না ঘরে। ফিতনা কেড়ে করে নেয় আমাদের ইমান। চায়ের দোকানের পাঁচ মিনিটের আড্ডায় হয়তো খুইয়ে বসি ইমানকে। সংসদভবনের দশ মিনিটের বক্তব্যে হয়তো খুইয়ে বসি মহামূল্যবান ইমানকে। এ যেন রাসুল সা.-এর ভবিষ্যতবাণীরই পূর্ণপ্রতিফলন।

    আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “অন্ধকার রাতের মতো ফিতনা আসার আগেই তোমরা নেক আমলের প্রভি অগ্রসর হও। সে সময়ে সকালে একজন মুমিন হলে বিকেলে কাফির হয়ে যাবে। বিকেলে মুমিন হলে সকালে কাফির হয়ে যাবে। দুনিয়ার সামগ্রীর বিনিময়ে সে তার দ্বীন বিক্রি করে বসবে।” [সহিহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কিতাবুল ইমান, হাদিস নং : ২১৪]

    আচ্ছা, কীভাবে আমরা এসব ফিতনা থেকে বাঁচব? আমাদের ইমানকে কীভাবে রক্ষা করব ফিতনার কবল থেকে? ফিতনাময় এ সময়ে আমাদের করণীয় কী? আপনার এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতেই নবপ্রতিষ্ঠিত প্রকাশনী ‘ইহসান পাবলিকেশন’-এর প্রথম পরিবেশনা ‘ফিতনার যুগে করণীয়’।

    ▪ লেখক পরিচিতি :
    বইটি লিখেছেন এ যুগের ‘ইবনু তাইমিয়া’ খ্যাত মুসলিমবিশ্বের বিখ্যাত আলিম ডাক্তার শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম (হাফি:)। বিশ্ববিখ্যাত এ ব্যক্তি কেবল একজন আলেমই নন, বরং একজন ডাক্তারও। লিখেছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় বই।

    ▪ যা আছে বইটিতে :

    অসাধারণ এ বইটিতে লেখক প্রথমেই ফিতনার পরিচয় প্রদান করেছেন, শুনিয়েছেন ফিতনা সম্পর্কে রাসুল সা.-এর ভবিষ্যতবাণী। এরপর লেখক আলোচনা করেছেন ফিতনার অবশ্যম্ভাবিতা সম্পর্কে। ফিতনা যে অবশ্যই আসবে, ছিড়ে যাওয়া তাসবিহর দানার মতো দ্রুতবেগে আসবে, আমাদের চারদিক গ্রাস করে নেবে – এ চিরন্তন সত্যটা বুঝতে বইয়ের এ অংশের আলোচনাটুকু বেশ উপকারী। তবে কেবল ফিতনা সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েই বইটি শেষ হয়নি, বরং ফিতনার এ যুগে কীভাবে দ্বীনের পথে স্থীর থাকা যায়, কীভাবে বাঁচা যায় এসব আগ্রাসী ফিতনা থেকে — সে সম্পর্কে করা হয়েছে বিস্তর আলোচনা। বইয়ের এ অংশের আলোচনার জন্যই বইটা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা।

    ▪ বইটির বৈশিষ্ট্য :

    অসাধারণ এ বইটির বেশ কিছু প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

    * সরল ও বোধগম্য আলোচনা। বইটিতে জটিলভাবে আলোচনা না করে সবার জন্য বোধগম্যভাবে সাবলীল আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে।

    * কুরআন, হাদিস ও সালাফদের কিতাবাদি থেকে চয়নকৃত দলিলে ভরপুর, যা আলোচ্য বিষয়কে শক্তিশালী করেছে।

    * অনুবাদ অত্যন্ত সাবলীল। পড়তে বসলে আপনার মনেই হবে না যে, আপনি কোনো অনূদিত বই পড়ছেন। একটানে পড়ে যেতে পারবেন।

    * বইটির আলোচ্য বিষয় অত্যন্ত জরুরি। বইটি থেকে একজন পাঠক একইসাথে জানতে পারবেন ফিতনার পরিচয় ও তা থেকে বাঁচার দালিলিক উপায়। তাই এ বিষয়ে বইটিকে একটি হ্যান্ডগাইড বলা যায়।

    * প্রচ্ছদ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পেপারব্যাক কাভার। সাথে ফ্ল্যাপ থাকাতে বেশ পোক্ত হয়েছে। পৃষ্ঠামান অত্যন্ত ভালো। সত্যিই। বাইন্ডিংও খুব পোক্ত। সব মিলিয়ে অসাধারণ।

    ▪ বইটির জরুরত :

    বর্তমান জামানায় বইটির প্রয়োজনীয়তা অবর্ণনীয়। ফিতনাময় এ পৃথিবীতে ফিতনার আগ্রাসন থেকে নিজেকে হেফাজত করতে এ সম্পর্কিত জ্ঞানার্জন করা আবশ্যক। আর তাই এ বইটি আমাদের জন্য বেশ উপকারী হবে, ইনশাআল্লাহ।

    ▪ একনজরে বইটি :

    • বই : ফিতনার যুগে করণীয়
    • লেখক : ডা. শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম (হাফি:)
    • অনুবাদক : মুফতি আরিফুর রহমান (হাফি:)
    • সম্পাদক : মানসূর আহমাদ (হাফি:)
    • প্রকাশনী : ইহসান পাবলিকেশন
    • প্রকাশকাল : সেপ্টেম্বর, ২০২১
    • পৃষ্ঠাসংখ্যা : ২০০
    • প্রচ্ছদমূল্য : ২৬৭/-

  2. Shahidul Islam

    মুসলিম উম্মাহ আজ সর্বদিক দিয়ে ফিতনায় বিপর্যস্ত। যেদিকেই চোখ যায় শুধু ফিতনার সয়লাব। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সর্বত্র আমরা ফিতনার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি। কিন্তু এনিয়ে বেশিরভাগ মানুষের-ই কোন চিন্তা-ফিকির নেই‌। যে যার মত চলছে। আর এই ফিতনায় বিপর্যস্ত সমাজে ঈমান-আমল টিকিয়ে রাখাও অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উম্মাহর এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমাদের ঈমান-আমল রক্ষায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

    📗 বইয়ের বিষয়বস্তু :
    আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
    الفتنة أشد من القتل
    অর্থাৎ ফিতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ। আলহামদুলিল্লাহ ইহসান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিতব্য শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল মুকাদ্দাম রচিত ‘ফিতনার যুগে করণীয়’ বইটিতে ফিতনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বইটি বর্তমান ফিতনা বিধ্বস্ত সমাজে আমাদের ঈমান-আমল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।

    📗 বইটির বৈশিষ্ট্য :
    বইটি যেসব কারণে একজন পাঠককে আকৃষ্ট করবে-
    ✅ বইয়ের বিষয়বস্তু, আলোচনা বর্তমান সমাজ এবং সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
    ✅ বইটিতে ফিতনার পরিচয়, ফিতনা সংঘটিত হবার কারণ এবং ফিতনা থেকে বাঁচার উপায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।
    ✅ বইয়ে কুরআন-সুন্নাহ থেকে দলীল উল্লেখের পাশাপাশি ফিতনা সম্পর্কে সালাফদের আলোচনাও স্থান পেয়েছে।
    ✅ বইয়ের অনুবাদ অত্যন্ত সাবলীল ও বোধগম্যভাবে করা হয়েছে।

    📗 পাঠ অনুভূতি :
    আলহামদুলিল্লাহ বইটি পাঠের অভিজ্ঞতার থেকে বলতে পারি, বইটি পাঠের মাধ্যমে বর্তমান ফিতনা বিধ্বস্ত সমাজ, নৈতিক অধঃপতনে পতিত দুনিয়া ও দুনিয়ার মানুষকে ফিতনা থেকে দূরে থাকার উপায়, উম্মাহর মাঝে ফিতনাহর ভয়াবহতা ও করণীয় সম্পর্কে জানা ও সে অনুযায়ী আমল করা যাবে ইনশাআল্লাহ।

    📗 বইটি কেন পড়বেন :
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এমন একটা সময় আসবে যখন মানুষ সকালে মুমিন থাকবে আর সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে। আবার সন্ধ্যায় মুমিন থাকবে, সকালে কাফের হয়ে যাবে। তাই বর্তমান সময়ে প্রত্যেকের ফিতনা সম্পর্কে সজাগ, সতর্ক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই সতর্ক থাকার জন্য বইটি হতে পারে আপনার সময়োপযোগী একটি অমূল্য রত্ন ইনশাআল্লাহ।

    ✍️ সংক্ষিপ্ত লেখক পরিচিতি :
    শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল মুকাদ্দাম ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। মুসলিম উম্মাহর খিদমাতে তিনি অনেকগুলো কাজ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো-
    عودة الحجاب
    اللحية لماذا؟
    لماذا نصلي؟
    المهدي
    الحياء خلق الاسلام
    আল্লাহ শাইখকে নেক হায়াত দান করুন এবং তাঁর ইলম-আমলে বারাকাহ দিন।

    📗 এক নজরে বই পরিচিতি :
    নাম : ফিতনার যুগে করণীয়
    লেখক : ডা. শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল মুকাদ্দাম হাফি.
    অনুবাদ : মুফতি আরিফুর রহমান
    সম্পাদনা : মানসূর আহমাদ
    প্রকাশক : ইহসান পাবলিক শেষ
    পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২০০
    মুদ্রিত মূল্য : ২৬৭
    ধরন : পেপারব্যাক
    বইটির সফল প্রচার প্রসার কামনা করছি।

  3. নাফিসা ইয়াসমিন

    ফিতনার যুগে করণীয়
    ——————————–
    স্তূপিকৃত মেঘের মত ধেয়ে আসা ফিতনা গোগ্রাসে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে সমাজকে। যেভাবে রাতের অন্ধকার নেমে আসে সেইভাবে ফিতনার আঁধারে ঢেকে গেছে আদম সন্তানের অন্তরগুলো। এই ফিতনা অন্তরকে মৃতকারী ফিতনা, মানুষের জ্ঞান লোপকারী ফিতনা, অশ্লীলতার ফিতনা , মনুষত্ব হারানোর ফিতনা যা সমুদ্রের ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়েছে আমাদের জ্ঞানে অজ্ঞানে সর্বাবস্থায়। এথেকে মুক্তির উপায় কোথায়? ফিতনা থেকে সেই বাঁচতে পারে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পথে যে অটল থাকে।
    আমরা কি চাইনা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এই ফিতনার জাল থেকে মুক্তি পেতে, আখেরাতের সাফল্য নিশ্চিত করতে?
    গাফিলতির চাদর ছেড়ে আর কবে জেগে উঠবে আমাদের মৃত অন্তরগুলো?শেষ ঠিকানার জন্য কবে প্রস্তুতি গ্রহন করবো?
    নিয়্যতের শুদ্ধতা, ইলম ও আমলের মাধ্যমে আমরা কিভাবে ফিতনার করলগ্রাস থেকে মুক্তি পাবো এইসমস্ত সকল প্রশ্নের উত্তর রয়েছে ইনসান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিতব্য “ফিতনার যুগে করণীয়” গ্রন্থটিতে।
    বক্ষ্যমান গ্রন্থটির লেখক শাইখ ইসমাইল আল – মুকাদ্দাস।

    ব‌ই-কথন
    —————-
    “ফিতনার যুগে করণীয়” ব‌ইটি বিভিন্ন চমকপ্রদ শিরোনামে প্রায় ছাব্বিশটি অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে মূল‌ বিষয়বস্তু।
    সূচিপত্রের আলোকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় তুলে‌ ধরা হলো:
    ⚫রাসূল সাঃ এর পক্ষ থেকে উম্মাহর প্রতি ফিতনা থেকে সতর্কীকরণ।
    ⚫নিঃসন্দেহে এসব ফিতনা সংঘটিত হবে।
    ⚫অনিষ্ট থেকে সতর্ক করা একটি কল্যাণময় কর্ম
    ⚫ফিতনার স্বরূপ
    ⚫বিচক্ষণতার আলো ফিতনার অন্ধকার দূর করে।
    ⚫আলেমদের মজলিস ব্যাতিত পুরো দুনিয়াটাই অন্ধকার
    ⚫ফিতনার দিনে সবর
    ⚫স্থিরতা ও কোমলতাকে আপন করা এবং তাড়াহুড়ো ও অস্থিরতা প্রহার করা।
    ⚫ফিতনা থেকে বাঁচার উপায়
    ⚫ফিতনার সময় জবানের হেফাজত
    ⚫ফিতনা থেকে বিচ্ছিন্ন হ‌ওয়া এবং ফিতনা থেকে দূরে পালানো।
    বর্তমান যুগ হলো ফিতনার যুগ,যে যুগে বৃষ্টির ন্যায় ফিতনা ঝরে পড়ে। ফিতনা থেকে বাঁচতে প্রথমেই জানতে হবে ফিতনার ধরণ প্রকৃতি অর্থাৎ ফিতনার স্বরূপ।
    ফিতনার স্বরূপ উন্মোচন অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে ফিতনার কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে এই জাল থেকে মুক্তির সন্ধান মিলবে।
    ফিতনার বৈশিষ্ট্য সমূহ: ফিতনা তার আকর্ষণীয় রূপ নিয়ে আদম সন্তানের চোখে ধরা দেয় তারপর ফিতনার জালে আবদ্ধ করে ফেলে। তার আকর্ষণীয় রূপ দেখে মানুষ আশায় বুক বাঁধে তারপর তাদের সমস্ত আশা আশা প্রত্যাশা ভেঙে চুরমার হয়ে যেভাবে ফুল ফোটার আগেই ঝড়ে পড়ে।

    ফিতনার আর এক বৈশিষ্ট্য হলো, ফিতনা মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ করে, ফিতনার চাতুরতায় মানুষ তাকে হেয় জ্ঞান করে।
    এইক্ষেত্রে হুযাইফা রাঃ বলেন, অমিশ্র কড়া মদের চাইতেও ফিতনা আরো বেশি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি লোপকারী।

    উম্মাহর প্রতি নবীজির পক্ষ থেকে ফিতনার সতর্কীকরণ অংশে হাদীস এবং কুরআন এর আলোকে উঠে এসেছে ফিতনার পরিণাম কত ভয়াবহ যার জন্য প্রিয় রাসূল সাঃ বারবার তার উম্মতকে সতর্ক করেছেন নানান অসিয়তের মাধ্যমে।
    ইসলামি শরীয়তে ফিতনাকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বিবেচিত করা হয়েছে তা বোঝা যায় হাদিস সংকলন থেকে।
    উসমান বিন জাইদ রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম একদিন মদিনার একটি সুউচ্চ দূর্গের ওপর দাঁড়িয়ে বললেন ” আমি যা দেখছি,তোমরা তা দেখছো কি? বৃষ্টি পড়ার স্থানগুলোর মতো তোমাদের ঘর বাড়ির মাঝে ফিতনা ঘটার স্থানগুলো দেখেছি আমি।”
    এই ছিলো উম্মাহর জন্য সতর্কবার্তা।
    প্রিয় নবীর সাহাবারা এবং পরবর্তী প্রজন্মে সালাফা রাশেদীনরা সর্বদা সচেষ্ট থাকতেন ফিতনার গড্ডালিকা থেকে বেঁচে থাকতে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে। তাঁরা ভালো ও মন্দ দুই সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতেন মন্দকে প্রতিহত করতে এবং সাধারণ মানুষকেও সতর্ক করতেন কারণ‌ অনিষ্ট থেকে সতর্ক করা একটি কল্যাণময় কর্ম।
    ব‌ইয়ের পাতায় উঠে এসেছে সালাফাগণের দুনিয়া বিমুখতা, শরিয়ত সম্মত ভাবে তাঁরা নির্জনতা অবলম্বন করেছেন এবং সালাত ও সবরের মাধ্যমে মনকে কেন্দ্রিভুত করতেন আল্লাহর ইবাদতে।
    এছাড়াও বর্ণিত হয়েছে ফিতনা থেকে মুক্তির পন্থা, জবানের হেফাজত ও সবর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।

    কেন পড়বেন
    ——————-
    বর্তমান যুগ হলো ফিতনা বিশৃঙ্খলার যুগ, যে যুগে বৃষ্টির ন্যায় ঝরে পড়ে ফিতনা। নফসের কুমন্ত্রণা, শয়তানের ওয়াসওয়াসা এবং দ্বীনহীন পরিবেশ মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে যার ফলে মানুষ প্রতিনিয়ত ডুবে যাচ্ছে ফিতনার সমুদ্রে। হারিয়ে ফেলছে পার্থিব শান্তি এবং আখেরাতের পাথেয়।
    সুতরাং আমাদের চিনতে হবে ফিতনার স্বরূপ, জানতে হবে ফিতনার থেকে মুক্তির উপায় কি হতে পারে কুরআন ও হাদীসের আলোকে। ফিতনার দিনগুলোতে কিভাবে সবর করা প্রয়োজন, জবানের হেফাজত কিরূপ হ‌ওয়া উচিত সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করতে এবং ঈমান ও আমলকে হেফাজত করতে আলোচ্য ব‌ইটি আপনার সহায়ক হবে।‌

    পরিশেষে
    ————–
    ব‌ইটি গাফেল হৃদয়কে জাগ্রত করে, আকুতি জানায় গাফিলতির চাদর ছেড়ে বেরিয়ে আসার।
    ব‌ইটির সহজ সাবলীল অনুবাদ এবং প্রাঞ্জল উপস্থাপন পাঠককে মুগ্ধ করবে।

    ফিতনার যুগে করণীয়
    লেখক: শাইখ ইসমাইল আল – মুকাদ্দাস
    প্রকাশনা: ইহসান পাবলিকেশন

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।