fbpx
ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী
ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী

ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী

লেখক : উসতাজ হাসসান শামসি পাশা
প্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন
বিষয় : ইসলামে নারী, ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
পৃষ্ঠা : 272, কভার : হার্ড কভার

 

 

234

You Save TK. 126 (35%)

ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী

Share This Book:

ক্যাশ অন ডেলিভারী

৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন

ডেলিভারী চার্জ ৬০ টাকা থেকে শুরু

Description

ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী’ বইটিতে যৌবন বয়সে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ‘নারীদের কীর্তিগাথা’ শিরোনামে অতীতের কিছু চমৎকার ঘটনা, মুসলিম তরুণিদের চরিত্র, পড়াশোনা বিষয়ে গাইডলাইন, পর্দা নিয়ে কথা, মা-বাবার প্রতি আদবকেতা, বান্ধুবী নির্বাচন, হারাম সম্পর্ক থেকে পরিত্রাণের উপায়, ফ্রি মিক্সিং, প্রকৃত ভালোবাসার কোথায় পাবেন, বিয়ের প্রস্তাব কীভাবে এবং কখন, কর্মক্ষেত্রে নারী, বাজারে চলাফেরার নীতি, একজন স্ত্রী থেকে মা হয়ে উঠার গল্প, নারীর ঈমানী শিক্ষা, দাওয়াত—মোটকথা একজন মুসলিম তরুণীর যা যা জানা প্রয়োজন, সব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে এই বইতে।
.
এগুলো প্রত্যেক বোনের জানা প্রয়োজন। লেখক অত্যন্ত দরদ-মাখা কণ্ঠে বোনদের নসিহত করছেন। অন্ধকারে চলতে থাকা বোনদেরকে আলোর দিশা দিয়েছেন।

Author

Author

উসতাজ হাসসান শামসি পাশা

Reviews (4)

4 reviews for ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী

  1. Arafat Shaheen

    বই: ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী

    আমরা এমন এক সময়ে এসে উপনীত হয়েছি, যখন ইসলামি বিধিবিধান আমাদের কাছে সেকেলে ও মূলহীন হয়ে পড়েছে। একদিকে চলছে বিকৃত রুচির অবাধ প্রতিযোগিতা, অপরদিকে পৃথিবীর সমস্ত মিডিয়া এগুলোকে প্রচার করছে আধুনিকতার একমাত্র অলংকার হিসেবে। ফলে আমাদের সমাজের তরুণ-তরুণীরা সহজেই পশ্চিমাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের ইমান এবং বিবেককে বিসর্জন দিয়ে চলেছে।

    একবার কল্পনা করুন তো—যদি অসভ্যতা ও বেহায়াপনার এ জোয়ার চলতে থাকে পুরোদমে, তাহলে ইসলামি মূল্যবোধের জায়গা কোথায় হবে! এসব নিয়ে চিন্তা করতে গেলে আমরা ভয়ে শিউরে উঠি; আতঙ্কে আমাদের হৃদয় মরুভূমির মতো শুষ্ক হয়ে ওঠে। তবুও কথা বলতে হবে। এই সমাজ ও সভ্যতাকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই কাউকে না কাউকে সীমাহীন দরদ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আরবদেশীয় বিখ্যাত দায়ি উসতাজ হাসসান শামসি পাশা এগিয়ে এসেছেন। তিনি তার বক্তৃতা ও শক্তিশালী লেখনীর মাধ্যমে মুসলিম যুবসমাজকে গভীর অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে চলেছেন। এজন্য তিনি তরুণ এবং তরুণীদের আলাদাভাবে উদ্দেশ্য করে দুটি বই রচনা করেছেন। এখন আমরা যে বইটি নিয়ে আলোচনা করবো তার বাংলা নাম—ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী। কত দরদমাখা একটি নাম, তাই না!


    যা যা থাকছে বইয়ে:
    পুরো বইটি পড়ার সুযোগ এখনও হয়নি। প্রকাশনী থেকে যে সংক্ষিপ্ত পিডিএফ দেওয়া হয়েছে সেটা পড়েই বইটির প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। মোট ১৭টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত বইটিতে এমন বিষয়গুলো তুলে এনেছেন লেখক—যা বর্তমান সময় এবং সমাজের জন্য খুবই উপকারী।

    সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে—আমি মনে করি, পুরুষের চেয়ে নারীর অবদান কোনো অংশেই কম নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা পুরুষের চেয়েও বেশি। ইসলামের প্রাথমিক যুগে নারীরা এমনসব গৌরবময় কীর্তি স্থাপন করে গিয়েছেন, যা সকল যুগের সব নারীদের জন্যই সরবরাহ করছে শিক্ষার উপকরণ। তাই সে-সকল মহীয়সী নারীদের কর্মগুলো আজকের যুগের তরুণীদের সামনে উপস্থাপন করা একান্ত জরুরি; যাতে তারা নিজেদের জন্য তা প্রয়োগ করতে পারে। বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায় এই বিষয়টি নিয়েই রচিত। শিরোনাম দুটি হলো—নারীদের কীর্তিগাথা ও ইসলামের প্রথম যুগের মহীয়সী নারীগণ।

    সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নারীরা ভুলে গেছে তাদের আত্মপরিচয়। একজন মুসলিম নারী হিসেবে তাদের যে ইসলামি বিধিবিধান পূর্ণরূপে মেনে চলা উচিত, সে হিসাব অনেকেই এখন করে না। তাছাড়া পশ্চিমাদের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আমাদের নারীসমাজের। তারা এমন সব মতবাদ দুনিয়াময় প্রচার করেছে, যাতে একজন নারী সহজেই আকৃষ্ট হয়ে ইমানহারা হয়ে পড়ছে। আমাদের নারীরা তাদের শিক্ষা ও আচরণে পশ্চিমাদের অনুসরণ করছে এবং মনে করছে, এতেই বুঝি সফলতা রয়েছে।

    মুসলিম তরুণীদের এই বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে বের করতে রচিত হয়েছে মুসলিম তরুণীদের চরিত্র, তুমি এবং তোমার শিক্ষা, তুমি এবং পর্দা, মা-বাবার সাথে কীভাবে কথা বলবে? শীর্ষক অধ্যায়গুলো।
    বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে দেখতে পেয়েছি এই সমাজে ফ্রি-মিক্সিং কী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে বরং উল্টো কিছু কথা শুনতে হয়। এই সংকটও চোখ এড়ায়নি বিজ্ঞ লেখকের। তিনি নারীদের বিবাহ এবং কর্মক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা এনেছেন। 

    সবমিলিয়ে মোটামুটি বর্তমান সময়ের প্রায় সবগুলো সংকট নিয়েই বইটিতে আলোচনা রয়েছে। আর প্রতিটি লেখাতেই ঝরে পড়ছে দরদমাখা সুবাস।


    কেন পড়বেন?
    মানুষের মনস্তত্ত্ব বুঝতে হলে সবার আগে সমস্যাগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। ড. হাসসান শামসি পাশা এমন কতগুলো বিষয় বইয়ে তুলে এনেছেন, যা এই সমাজের সংকটগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে।

    আমরা যে পাপ করছি, অনেকের মধ্যে এই বুঝ এবং উপলব্ধিটুকু নেই। হয়ত অনেকে জানিই না যে এতে পাপ হয়। লেখক চোখে আঙুল দিয়ে এই ভুলগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন এবং সেখান থেকে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

    বইয়ের শুরুতে খুবই হৃদয়গ্রাহী একটি ভূমিকা রয়েছে; যা সকল পাঠকের হৃদয়েই ঢেউ তুলতে পারে।

    সুতরাং হে তরুণী, যদি তুমি নিজেকে ফিরে পেতে চাও ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে, তাহলে বইটি একবার পড়ে দেখতে পারো; তোমাকে পথ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ।

    দুটি বইয়ের ভেতরেই উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়টি পাঠক হিসেবে আমার কাছে পছন্দ হয়নি। তবে সবমিলিয়ে দারুণ একটি কাজ হবে ইনশাআল্লাহ।

  2. Muhammad Rashed Ahmad

    ____বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম____

    প্রকাশিতব্য বইটি নিয়ে আমার অনুভূতি :
    __________________________________
    • ‘ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী’ এই শিরোনামের ভেতরই এক ধরনের মায়া ও স্নেহ বিদ্যমান আছে। মনে হচ্ছে কোনো দরদি অভিভাবক পরম সোহাগে কাছে নিয়ে কিছু উপদেশ দিতে চাইছেন। সিরিয়ার বিশিষ্ট দাঈ ও লেখক ড. হাসসান শামসি পাশা-এর বিখ্যাত বই দুটি বাংলায় অনূদিত হয়ে বাজারে আনছে রুহামা পাবলিকেশন। রুহামা’র পূর্বে অন্য কোনো ইসলামি প্রকাশনী পাঠকপ্রিয় এই লেখকের বই প্রকাশিত করেনি। বাংলা অনূদিত হয়ে আসা প্রকাশিতব্য বই দুটির নাম হচ্ছে :

    ১। ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণ ।
    ২। ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী ।

    ‘ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী’ বইটি পড়ে শেষ করলাম; এখন নিজের অনুভূতিগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি মনে করি বইটির প্রয়োজনীয়তা বোঝার জন্য লেখকের ভূমিকা পড়াই যথেষ্ট। সূচিপত্রের দিকে তাকালে বইয়ের ভিন্নতা নজরে পড়বে। ইউনিক ধরনের এক গাইডবুক আমরা পেতে যাচ্ছি।

    • পশ্চিমা বিশ্বে ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে নোংরা সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় স্বীকার হয়েছে নারী সমাজ। জঘন্য এই সয়লাব পশ্চিমা বিশ্ব মাতিয়ে এখন বহু মুসলিম দেশগুলোতে প্রতাপের সাথে রাজত্ব করছে। এর চাকচিক্যময় আবরণ এতটাই লোভনীয় যে, আমার মুসলিম মা ও বোনেরা ধীরে ধীরে এ গণ্ডির ভেতর চলে এসেছে। তারা ভাবছে, পর্দা লঙ্ঘন করা মানেই আমার মুক্তি, পরিবারের অনুশাসন এড়িয়ে নিজের মতো চলতে পারাটাই আমার উন্নতি—এ জাতীয় ভাবনায় মুসলিম নারীরাও আক্রান্ত এবং তাদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূমিকাতে লেখক ‘সারা’ নামের লেবানিজ একজন মুসলিম তরুণীর গল্প উল্লেখ করেছেন। যিনি পশ্চিমার নগ্ন সংস্কৃতির একজন ভুক্তভোগী ছিলেন, পরবর্তী সময়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরে দ্বীনের পথে ফিরে এসেছেন এবং খুব অল্প দিনের ভেতর পরপারে পাড়ি জমান। সারা’র গল্প আমার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে।

    • নাজনীন আক্তার হ্যাপি। নামটি কী আপনার চেনা চেনা লাগছে? আমার মনে হয় অচেনা লাগার মতো এ নামটি নয়। বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন ক্রিকেটারের প্রেমিকা ছিল সে, ছিল জনপ্রিয় একজন মডেল ও অভিনেত্রী। রূপ, অর্থ, নাম-যশ সবই ছিল তার। ঈমান তার ভেতরে থাকলেও, ইসলাম তার জীবনে ছিল না। এ আরেক বাংলাদেশি ‘সারা’।বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অপকর্ম করার পরও যখন, তার জীবনসঙ্গিনী হওয়ার সুযোগটি হ্যাপি পেলো না, তখনি তাঁর নেশা কাটলো। আজ সে কোথায়? পত্রিকার চিত্তবিনোদনের পাতায় তাকে আর দেখা যায় না, কোনো সাংবাদিক তাকে নিয়ে ফিচার ছাপায় না। এর কারণ কী?

    এর কারণ হচ্ছে, তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে এসেছেন। নিজের আত্মজীবনীও লিখেছেন। স্বীকার করেছেন নারীর মুক্তি একমাত্র ইসলামের গণ্ডির ভেতরেই, এর বাহিরে আছে শুধু ধ্বংস, অপদস্ত ও বেইজ্জতি। বাংলাদেশের নারীদের জন্য এর চেয়ে জলজ্যান্ত প্রমাণ আর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

    বইটি পড়ুন, নিজেকে নিয়ে ভাবুন :
    ____________________________
    • উসতাজ ড. হাসসান শামসি পাশা এরকম আরও যত হ্যাপি পৃথিবীর নানান প্রান্তে ধুঁকছে, তাদের আশার আলো দেখানোর জন্যই এ বিষয়ে কলম ধরেছেন। সুতরাং মুসলিম বোনদের উচিত বইটি পড়ার। আমার মুসলিম বোনেরা মনে করে ইসলামের বিধিবিধান তাদের জিঞ্জিরে বন্দী করে রাখে, তাদের স্বাধীনতা, ইচ্ছা ও স্বপ্ন পূরণের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ইসলাম। আমি তাদের বলব, আপনি এ বইটি হাতে নিন, নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়ুন।

    আসলেই কী ইসলাম নারীদের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়?
    ‘ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী’ বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় পাঠ করলে, এ প্রশ্নের উত্তর সহজেই পাওয়া যাবে।

    • আম্মিজান হযরত আয়িশা রাযি. হাদিস বর্ণনার শীর্ষ তালিকায় আছেন। জটিল থেকে জটিল মাসায়েল সাহাবিগণ তাঁর থেকে জেনে নিতেন। প্রায় ২২ জন নারী সাহাবি ফতোয়া ও ইসলামি আইনশাস্ত্রে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন উম্মাহাতুল মুমিনীন বা নবীপত্নী ছিলেন।
    ১১ শতাব্দীতে মামলুক শাসনামলে তৎকালীন মুসলিম নারীরা দামেশকে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১২টি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।

    • পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় হলো কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়। মরক্কোর ফেজ এলাকায় একজন মুসলিম মহীয়সী নারী ৮৫৯ সনে নির্মাণ করেন। বাদশা হারুনুর রশীদ এর সহধর্মিণীর নাম জোবায়দা। যিনি ইসলামের ইতিহাসে আজও চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি সেই সময় হাজিদের পানির কষ্ট দূর করার জন্য বাগদাদ থেকে মক্কা পর্যন্ত ২২টি নহর তৈরি করেন; যা আজও নহরে জোবায়দা বলে খ্যাত।
    বিশিষ্ট আলিম ও দাঈ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. এর হাতেগড়া ছাত্র হলেন ড. আকরাম নদভী। তিনি মুসলিম নারী স্কলারদের জীবনীর ওপর ৪৩খণ্ডের গ্রন্থ রচনা করেন। আল্লাহু আকবার!

    • বইটি পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন যে, শরিয়তের ভেতর থেকেও একজন মুসলিম তরুণী নিজেকে শিক্ষা ও কর্মের শাখায় গড়ে তুলতে পারেন। কিন্তু এ সবকিছুর আগে তাকে মনে রাখতে হবে, তিনি আগামীর একজন ‘মা’।
    তিনি চেষ্টা করলে ইসলামের জন্য সেরা কিছু মানুষ উপহার দিতে পারেন, আবার এর বিপরীতের পথও তার জন্য খোলা।
    সকল পথভোলা ও হীনমন্যতায় ভোগা মুসলিম তরুণীদের আহবান করছি, তারা যেন বইটি পড়ে এবং নিজের সত্যিকারের অবস্থান নির্নয় করে ইসলামের দিকে ফিরে আসতে পারে। আশা করি আব্দুল্লাহ ইউসুফ ভাইয়ের সাবলীল অনুবাদ বইটি পাঠকের নিকট আরও সুখপাঠ্য করে তুলবে। আল্লাহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
    আমিন।

    এক নজরে বইটি :
    _______________
    বই : ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী
    লেখক : ড. হাসসান শামসি পাশা
    অনুবাদক : আব্দুল্লাহ ইউসুফ

  3. Amit Hasan

    ■ বই- ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী

    ■ শুরুর কথা-

    আজকের তরুণ-তরুণীই আগামী প্রজন্মের অভিভাবক। তারা যেমন মন মানসিকতা লালন করবে তাদের সন্তানদেরও সেভাবেই গড়ে তুলবে। আমাদের ঈমানী দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান ইসলামকে অন্তরে লালন করা। অথচ বর্তমান প্রজন্ম আজ পশ্চিমাদের সৃষ্ট বিভিন্ন মতবাদে বুঁদ হয়ে ইসলাম থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। তাদের মস্তিষ্কে চিন্তা চেতনায় সংশয় কাজ করছে যে কোনটি সঠিক মতাদর্শ? নারী অধিকার, নারী স্বাধীনতা ইত্যাদি মুখরোচক বুলি আওড়িয়ে পশ্চিমারা মুসলিম নারীদের ইসলামের বিধিবিধানের ওপর বিরাগভাজন করে তুলছে। পর্দাকে নারীর উন্নতির অন্তরায় হিসেবে উপস্থাপন করছে। আর আমাদের মুসলিম নারী সমাজ তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে তাদের সৃষ্ট বিষবাষ্পের ধোঁয়ায় নিজেদের নারীত্বকে হারিয়ে ফেলছে। আমরা যদি সেই মতবাদগুলোর স্রোতে হারিয়ে যেতে না চাই তাহলে আমাদের উচিত পশ্চিমাদের সৃষ্ট মতবাদ গুলোর অসারতা প্রমাণ করা, পশ্চিমাদের চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন হওয়া। যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়ের দাবী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুগসচেতন দায়ি ইলাল্লাহ “উসতাজ হাসসান শামসি পাশা” যিনি পশ্চিমাদের ধ্যান ধারণা ও এর সংশয়ের মূলোৎপাটন, ক্ষতিকর বিভিন্ন দিক এবং ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরে মুসলিম তরুণীদের জন্য রচিত করেছেন অনবদ্য এক গ্রন্থ। যার বাংলা অনুবাদ “ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে তরুণী”

    ■ বইটির আলোচ্য বিষয়-

    বইটি ১৭ টি অধ্যায়ে সুসজ্জিত। প্রতিটি অধ্যায় আবার সুনির্দিষ্ট পরিচ্ছদে বিভক্ত। বইটিতে উঠে এসেছে ইসলামের প্রথম যুগের মহীয়সী নারীগণ ও তাঁদের কীর্তিগাথা, একজন মুসলিম তরুণীর চরিত্র কেমন হওয়া উচিত? একজন মুসলিম তরুণীর শিক্ষা কেমন হবে? একজন মুসলিম তরুণীর পর্দা প্রথা কেমন হবে? মা বাবার সাথে কথা বলার আদব, একজন তরুণীর কার সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত? আল্লাহর জন্য ভালোবাসার পরিমাণ, ইন্টারনেটে বন্ধুত্ব বিষয়ে আলোচনা। আজকের সমাজে যুবকদের সাথে নারীদের কি ভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে? এর ফলাফল বিষয়ক আলোচনা। কিভাবে মুসলিম নারীরা ওয়েস্টার্ন ট্র্যাডিশনের আড়ালে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, বাড়িতে পুরুষ ও নারীর মেলামেশার বিধান, যারা আমাদের ভালোবাসে তাদের সাথে আমরা কেমন আচরণ করবো? পশ্চিমাদের কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা কি? বিয়ের প্রস্তাব শিরোনামে যুবকের বিয়ের প্রস্তাব, বৈবাহিক সফলতার সাথে পেশার কোনো ভূমিকা আছে কি? পাত্র সুদর্শন হওয়া জরুরি কিনা? স্বামী- স্ত্রীর পড়ালেখা সমান হওয়া জরুরী কিনা? উভয়েই একই রকম স্বভাবের হওয়া জরুরী কিনা? বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। এছাড়া বিয়ের আগের ভালোবাসা, শরয়ি আকদের আগে পাত্র-পাত্রীর সম্পর্ক, নারী কিভাবে নিজের স্বামীকে খুশি রাখবে বিষয়ক আলোচনা। কর্মক্ষেত্রে নারী অধ্যায়ে নারীর কাজের ক্ষেত্রে শরয়ি নীতিমালা আলোচনা করা হয়েছে। বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন কেন? গেলে কি কি আদব মানতে হবে? ইসলামের আলোকে পশ্চিমাদের সৃষ্ট নারী মতবাদকে অপনোদন করা হয়েছে। পরিপূর্ণ মুমিনীন হওয়ার সবক দেওয়া হয়েছে। পরিশেষে বইটির শেষ অধ্যায়ে তুমি একজন দায়ি শিরোনামে দায়ি হওয়ার বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচিত হয়েছে।

    ■ পাঠ্যানুভূতি-

    বইটি নারীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন স্বরূপ হবে। পরিবার থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনে তাদের জীবন বিধান দায়িত্ব কর্তব্য গুলো উঠে এসেছে। প্রতিটি আলোচনাতেই কুরআন ও হাদিসকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবং সেগুলোর যথাযথ রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে। বইটির অনুবাদও যথেষ্ট সরল ও প্রাঞ্জল মনে হয়েছে। আশা করছি বইটি পশ্চিমা শক্তির কড়াল গ্রাস থেকে নারীদের ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আনয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

    ■ বইটি পাঠে যা যা জানা যাবে-

    ১। পথভোলা ও সত্যান্বেষী তরুণীদের জন্য আলোকিত পথের দিশা লাভের ঈমানদীপ্ত কিছু দৃষ্টান্ত।
    ২। ভ্রষ্টতা থেকে আলোর পথে ফিরে আসা নারীদের কিছু উপাখ্যান।
    ৩। উওম চরিত্র গঠনের বেশ কিছু গুণাবলীর বর্ণনা।
    ৪। বিভিন্ন সংশয়ের জবাব।
    ৫। সত্যের পথে চলার কিছু সদুপদেশ ও উওম দিক-নির্দেশনা।

    ■ বইটি কাদের জন্য এবং কেন পড়া উচিত-

    সংশয়ে নিপতিত পথভোলা নারী, ইসলাম থেকে দূরে থাকা তরুণীদের ইসলামমুখী করবে সফলতা ও শান্তির পথ দেখাবে। সত্যান্বেষী সকল মুসলিম বোন বইটি পাঠের মাধ্যমে সঠিক পথের দিশা পাবেন ইনশাআল্লাহ।

    ■ শেষ কথা-

    নারীত্ব কোনো দুর্বলতা নয়, বরং নারীত্বই নারীর মোক্ষম অস্ত্র। সুতরাং একজন নারী এমন কাজ, পদক্ষেপ বা পর্যায়ে যাবে না যা তার নারীত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বা ইসলামের বিপরীতে যায়। বরং একজন নারীর দায়িত্ব হবে নিজেকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করা।

  4. Shahidul Islam

    📗 বই রিভিউ
    নাম : ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী

    ✍️ প্রাককথন :
    “তুমি আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে একটি শিক্ষিত জাতি দিব”।
    নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বিখ্যাত এই উক্তি সবারই জানা। এইজন্য একটি জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতিতে একজন নারী, একজন মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

    কিন্তু সেই নারী, সম্মানিতা মাকে যখন তাঁর যথাস্থান থেকে সরিয়ে, তাঁর দায়িত্ব-কর্তব্য ভুলিয়ে দিয়ে সমঅধিকারের নামে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়; তখন তা সেই জাতির জন্য অধঃপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেই ব্যাপারটা আমাদের বর্তমান মা-বোনদের মধ্যে চরমভাবে বিদ্যমান। যার ফলে তারা নিজেরা যেমন অপমানিত, লাঞ্ছিত হচ্ছেন; একইভাবে মুসলিম উম্মাহও অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে মা-বোনদের জন্য কলম হাতে তুলে নিয়েছেন শায়েখ ড. হাসসান শামসি পাশা হাফি. যা রুহামা পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী’ নামে।

    📗 বইয়ের বিষয়বস্তু :
    বইটিতে শায়েখ হাসসান শামসি পাশা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্তমান তরুণীদেরকে কিছু আহ্বান জানিয়েছেন। যে বিষয়গুলো একটি মেয়েকে, একজন নারীকে, একজন মাকে তাঁর সামাজিক, পারিবারিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি সর্বত্র তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। নারীদেরকে সমঅধিকার নামক অন্ধকারের অতল গহ্বর থেকে বের করে আলোর দিশা দিতে পারে।

    📗 বইটির বৈশিষ্ট্য :
    বইটি বিভিন্ন দিক থেকে নিজ গুণে গুণান্বিত। এখানে তার কয়েকটি উল্লেখ করছি-
    ✅ বইটির বিষয়বস্তু, বিন্যাস, অলঙ্করণ অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
    ✅ বইটির অনুবাদ অত্যন্ত সাবলীল, বোধগম্য।
    ✅ বইটিতে প্রতিটি অধ্যায়, পরিচ্ছেদ, পবিত্র কুরআনের আয়াত, হাদীসে লাল রং ব্যবহার করে আলাদা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এদিক থেকে বইটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের দাবিদার।

    📗 শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুভূতি :
    আলহামদুলিল্লাহ আমার বইটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। সে অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, বইটি বর্তমান সময়ের মা-বোনদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী একটি বই। তবে আমার চোখে বইটির সামান্য একটি ভুল ধরা পড়েছে, সেটা হলো বইটির ১০১ পৃষ্ঠায় হযরত ইবরাহীম (আ:) এর স্ত্রীর নাম হাজেরা (আ:) এর পরিবর্তে হাজার (আ:) লেখা হয়েছে। আশা করি রুহামা কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সংস্করণের সময় বিষয়টি খেয়াল করবে।

    📗 যেভাবে সাজানো হয়েছে :
    বইটিতে মোট ১৭ টি অধ্যায়ের আলোচনা স্থান পেয়েছে। অধ্যায়গুলো হচ্ছে-
    * নারীদের কীর্তিগাথা
    * ইসলামের প্রথম যুগের মহিয়সি নারীগণ
    * মুসলিম তরুণীর চরিত্র
    * তুমি এবং তোমার শিক্ষা
    * তুমি এবং পর্দা
    * মা-বাবার সাথে কিভাবে কথা বলবে
    * তুমি ও তোমার বান্ধবীরা
    * তুমি এবং সেই যুবক
    * ফ্রি মিক্সিং
    * প্রকৃত ভালোবাসা
    * বিয়ের প্রস্তাব
    * বিয়ের প্রহর
    * কর্মক্ষেত্রে নারী
    * বাজারে
    * নারী- আমাদের দৃষ্টিতে ও পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে
    * ঈমানের আলোর দিকে
    * তুমি একজন দায়ি।

    📗 বইটি কেন পড়তে হবে :
    বর্তমান অধঃপতিত সমাজে নারীদের দ্বীনের পথে ফিরে আসা ও অটল থাকার জন্য বইটি হতে পারে একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন ইনশাআল্লাহ। কারণ বইটিতে আমাদের মা-বোনদের মধ্যে ইসলাম, পর্দা, বিয়ে, নারীশিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি নিয়ে যেসব প্রশ্ন ও সন্দেহ-সংশয় দেখা দেয়; তার সহজ ও সুন্দর সমাধান দেওয়া হয়েছে।

    ✍️ সংক্ষিপ্ত লেখক পরিচিতি :
    শায়েখ ড. হাসসান শামসি পাশা হাফি. সিরিয়ার একজন বিখ্যাত দায়ি। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে হিমস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে তিনি বিভিন্ন খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো-
    همسة في أذن شاب
    همسة في أذن فتاة
    همسة في أذن زوجين
    عندما يحلوا المساء
    আল্লাহ শায়েখকে নেক হায়াত দান করুন।

    📗 একনজরে বইটি :
    নাম : ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী
    মূল নাম : همسة في أذن فتاة
    অনুবাদক : আব্দুল্লাহ ইউসুফ
    প্রকাশক : রুহামা পাবলিকেশন
    পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৭২
    মুদ্রিত মূল্য : ৩৬০ ( ২৫% ছাড় মূল্য ২৭০)
    বাঁধাই : হার্ডকভার।

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart

Sign in

No account yet?

ধন্যবাদ, আপনার প্রি-অর্ডারটি গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনার যে কোন প্রশ্ন অথবা অর্ডারে কোন পরিবর্তনের জন্য ০১৮৪৪২১৮৯৪৪ নাম্বারে কল করুন ।